বাংলা
আদর্শ ছেলে * কুসুমকুমারী দাশ
১। আমাদের দেশের ছেলেরা কিসে বড় হবে?
উঃ ‘আদর্শ ছেলে’ কবিতায় কবি কুসুমকুমারী দাশ দেশের উন্নতি কামনা করেছেন। আমাদের দেশের ছেলেরা যেন মুখে মুখে বড় বড় কথা না বলে কাজে বড় হওয়ার পরিচয় দেয় সেই কথা তিনি ভেবেছেন। তাই তিনি বলেছেন আমাদের দেশের ছেলেরা কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে।
২। আমাদের দেশের ছেলেরা কী পণ করবে?
উঃ কবি কুসুমকুমারী দাশ রচিত ‘আদর্শ ছেলে’ কবিতায় আমাদের দেশের ছেলেরা কেমন হবে তা কামনা করা হয়েছে। আমাদের দেশের ছেলেরা মানুষের মত মানুষ হওয়ার পণ করবে। কারণ, শুধু হাত, পা, রক্ত, মাংস থাকলে প্রকৃত মানুষ হওয়া যায়না। প্রকৃত মানুষ হতে হলে জ্ঞানে, গুণে, চরিত্রে সর্বদিক মিলিয়ে মানুষ হতে হয়। তাই আমাদের দেশের ছেলেরা ‘মানুষ হতেই হবে’ এই পণ করবে।
৩। বিপদ এলে ছেলেরা কী করবে?
উঃ কুসুমকুমারী দাশ রচিত ‘আদর্শ ছেলে’ কবিতায় বিপদ এলে ছেলেরা ভয়ে পিছপা হবেনা। শরীরে রক্ত, মাংস, প্রাণ রয়েছে বলে তা সাহসের সাথে মোকাবেলা করবে। ভয়কে বুকে সাহস নিএ জয় করার জন্য কবি আহ্বান করেছেন।
৪। কোন ছেলেরা পিছিয়ে পড়ে না?
উঃ কুসুমকুমারী দাশ রচিত ‘আদর্শ ছেলে’ কবিতায় কবি এদেশের ছেলেদের শক্তি-সাহস যুগিয়েছেন। কবি বলেছেন হাত, পা সবারই আছে, মিছে ভয় না পেয়ে জ্ঞান ও বধ নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। কবি বলেছেন যাদের চেতনা আছে তারা কখনো পিছিয়ে পড়ে না।
৫। কেমন ছেলে কেউ চায় না?
উঃ ‘আদর্শ ছেলে’ কবিতায় কবি কুসুমকুমারী দাশ অলস, বিমুখ, নির্বোধ ছেলেদের কে কেউ চায় না বলে অভিহিত করেছেন। যেসব ছেলেরা কথায় কথায় কাঁদে, বিপদ দেখলে মাথা ঘুরে যায়, মনে যাদের উদ্দীপনা নেই এমন ছেলেদের কে কেউ চায় না। কবি বলেছেন, যেসব ছেলে কথায় কথায় কাঁদে, চোখে জল আসে এবং মাথা ঘুরে যায় তাদের কেউ চায় না।
৬। কেমন করে দেশের কল্যাণ হবে?
উঃ কুসুমকুমারী দাশ রচিত ‘আদর্শ ছেলে’ কবিতায় কবি ছেলেদের কিভাবে খাটলে দেশের কল্যাণ হবে সে কথাই বলেছেন। কবি বলেছেন- সকলে মিলে ভাল কোনকিছু করার ভাবনা করলে, শক্তি দিয়ে মনে প্রাণে খাটলে এবং প্রকৃত মানুষের মত মানুষ হলে দেশের কল্যাণ হবে।
৭। ছেলেদের কীভাবে খাটতে হবে?
উঃ ‘আদর্শ ছেলে’ কবিতায় কবি কুসুমকুমারী দাশ এদেশের মঙ্গল কামনা করেছেন।তাই এদেশের কল্যাণে ছেলেদের মনে শক্তি নিয়ে খাটতে হবে।
একজন পটুয়ার কথা
ক) কামরুল হাসান ‘মিস্টার বেঙ্গল’ হন কিভাবে?
উঃ একজন পটুয়ার কথা গল্পে শিল্পী কামরুল হাসানের কথা বলা হয়েছে। ১৯৪৫ সালে সারা বাংলাদেশে ব্যায়াম ও শরীরচর্চা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। তাতে তিনি প্রথম স্থান অধিকার করে ‘মিস্টার বেঙ্গল’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন।
খ) কামরুল হাসানের জন্ম কোথায়?
উঃ একজন পটুয়ার কথা গল্পে শিল্পী কামরুল হাসানের জীবনকাহিনী বর্ণিত হয়েছে। তাঁর বাবা মোহাম্মদ হাশিম কলকাতায় চাকরি করতেন। সেখানেই তাঁর জন্ম।

বিজ্ঞান
পঞ্চম অধ্যায়
-মাটি-
১। ভূ-পৃষ্ঠ কী দ্বারা ঢাকা?
উঃ ভূ-পৃষ্ঠের প্রায় তিনভাগ পানি এবং একভাগ স্থল দিয়ে ঢাকা। স্থলভাগ বেশিরভাগ অংশ নরম আস্তরণ দ্বারা আবৃত। বাকি অংশে আছে পাহাড়-পর্বত ও মরুভূমি।
২। মাটি কী?
উঃ ভূ-পৃষ্ঠের স্থলভাগ অধিকাংশ নরম আস্তরণ দ্বারা আবৃত। যেখানে সাধারণত গাছপালা জন্মে। একে আমরা মাটি বলি। মাটি হচ্ছে কতগুলো জীব ও জড় পদার্থের মিশ্রণ।
৩। মাটি কী? মাটির প্রকারভেদ বর্ণনা কর/বৈশিষ্ট্য লিখ।
উঃ ভূ-পৃষ্ঠের স্থলভাগ অধিকাংশ নরম আস্তরণ দ্বারা আবৃত। যেখানে গাছপালা জন্মে। একে আমরা মাটি বলি। মাটি হল কতগুলো জীব ও জড় পদার্থের মিশ্রণ।
মাটির প্রকারভেদঃ সাধারণত বিভিন্ন স্থানের মাটি বিভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে। কোনটার কণা মিহি, কোনটার মোটা, কোনটার বেশ বড়। এগুলো খালি চোখে আলাদা করে দেখা যায়। আবার অনেকগুলো এত ছোট যে খালি চোখে দেখা যায়না। মাটির আকার অনুযায়ী মাটি কে তিনভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ
১। বেলে মাটি
২। দোআঁশ মাটি ও
৩। এঁটেল মাটি।
১। বেলে মাটিঃ এই মাটির বেশিরভাগই বালি। অধিকাংশ বালি দ্বারা গঠিত বলে একে বেলে মাটি বলে।
বৈশিষ্ট্যঃ
১। এ মাটির ফাঁকে ফাঁকে প্রচুর বায়ু থাকে।
২। এ মাটি পানি শোষণ করতে পারে।
৩। পানি ধরে রাখতে পারে না।
৪। এ মাটি তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।
৫। এ মাটিতে ফসল ভাল হয় না।
এ মাটি সাধারণত মরুভূমিতে, সমুদ্রে, নদীর চরে দেখা যায়। বেলেমাটিতে তরমুজ, ফুটি, খিরাই, শশা প্রভৃতি ভাল জন্মে।
২। দোআঁশ মাটিঃ এই মাটির অর্ধেক বালি অর্ধেক কাদা। দুই ধরনের সংমিশ্রণে এ মাটি গঠিত বলে একে দোআঁশ মাটি বলে। বৈশিষ্ট্যঃ
১। এর পানি ধারণ ক্ষমতা মাঝামাঝি ধরনের।
২। এতে হিউমাস এর পরিমাণ অনেক বেশি থাকে।
৩। পানি ছাড়া কাদাও ধরে রাখতে পারে।
৪। পর্যাপ্ত পরিমাণ বায়ু থাকে।
৫। উদ্ভিদের জন্য এ মাটি উপযোগী।
৬। এ মাটি চাষ করা সহজ।
বাংলাদেশের অধিকাংশ স্থান এ মাটি দিয়ে গঠিত।
ধান, গম, ভুট্টা, যব, পাত, আখ ইত্যাদি এ মাটিতে ভাল জন্মে।
৩। এঁটেল মাটিঃ এই মাটিতে কাদার পরিমাণ বেশি এবং কনাগুলো মিহি। তাই এর পানি ধারণ ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি। কণাগুলো খুব ছোট হওয়ায় এগুলোর মধ্যে তেমন ফাঁক থাকে না। তাই এঁটেল মাটিতে প্রচুর বায়ু ঢুকতে পারে না। বর্ষাকালে এ মাটি অত্যন্ত নরম আবার শুষ্ক মৌসুমে অত্যন্ত শক্ত হয়। এই অবস্থায় চাষ করা কষ্টকর। এঁটেল, হিউমাস, জৈব মাতি মিশিয়ে এ মাটিকে অনেকটা দোষমুক্ত করা যায়।
৩। মাটির উপাদানগুলো বর্ণনা কর।
উঃ ভূ-পৃষ্ঠের স্থলভাগ অধিকাংশ নরম আস্তরণ দ্বারা আবৃত। যেখানে সাধারণত গাছপালা জন্মে। একে আমরা মাটি বলি।
মাটির গঠন উপাদানঃমাটি হচ্ছে কতকগুলো জীব ও জড় পদার্থের মিশ্রণ। এগুলো হলঃ ১। অজৈব পদার্থঃ বালু-কণা – যা পানি শোষণ করার ক্ষমতা রাখে।
কাদার কণা – যা পানি কে আটকে রাখে।
২। বায়ু – বিভিন্নভাবে মাটি নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করে।