Free Essay

স্বামী স্ত্রী

In:

Submitted By rakelkhan
Words 9144
Pages 37
সহবাসের দোয়া এবং সহবাস নিষিদ্ধ হয় কখন ?
স্ত্রী সহবাসের দোয়া।
উচ্চচারনঃ
বিসমিল্লাহি জান্নিবিনা শাইত্বানা ওয়া জান্নিবিশ শাইত্বানা মা রাযাকতানা । অনুবাদঃহে আল্লাহ আমাকে শয়তান হতে বাঁচার এবং আমার জন্য যা হালাল করেছ তাহা হইতে শয়তানকে বিতারিত করো।
সহবাস নিষিদ্ধ হওয়ার কারন সমূহ?
নিষিদ্ধ সময়ে স্ত্রী সহবাস
করা খুবই খারাপ কাজ।
জ্ঞানীরা বলেনঃনিষিদ্ধ
সময়ে স্ত্রী সহবাস শরীরের
এবং মনের অনেক ক্ষতি সাধন
করে থাকে।
তার মধ্যে ১২ টি বিষয়
আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলঃ
১) রোগী ব্যক্তি সহবাস
করিলে তার রোগ আরো বেড়ে যায়
এবং শরীরের ক্ষতি হয়।
২) শরীরে জ্বর
নিয়ে স্ত্রী সহবাস পাগল
হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা আছে।
৩) বৃদ্ধা ও বারবনিতার
সঙ্গে সহবাস করলে আয়ু কমে যায়।
৪)
বেশি গরমে মধ্যে স্ত্রী সহবাস
করিলে পাগল হয়ে যাওয়ার
সম্ভবনা থাকে।
৫) রাগ, চিন্তা, কষ্ট ও ভয়জনিত
অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করলে কঠিন
রোগে আক্রান্ত হওয়ার
সম্ভবনা থাকে।
৬) বেশি ঠাণ্ডার ভিতরে সহবাস
করলে নিউমোনিয়া রোগ
হতে পারে।
৭) হায়েজের অবস্থায়
স্ত্রী সহবাস
করলে স্বামী স্ত্রী দুই জনেই মেহ
প্রমেহ রোগ হতে পারে।
৮)নিকৃষ্ট স্ত্রী সাথে করলে
নিকৃষ্ট সন্তান জম্ম লাভ করে।
৯) ভরা পেটে স্ত্রী সহবাস
করলে কঠিন রোগ হওয়ার
সম্ভবনা আছে।
১০) অন্ধকার ঘরে ক্ষুদ্র
বা নোংড়া জায়গায় স্ত্রী সহবাস
করলে চিরতরে স্বাস্হ্য নষ্ট
হয়ে যায়
১১) ভীষণ ক্ষুধার সময়
স্ত্রী সহবাস করিলে লিঙ্গ শিথিল
হয়ে যায়।
১২) বৃ্দ্ধ বয়সে স্ত্রী সহবাস
করলে নিজেকে মৃত্যুর
দিকে দ্রুত
এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

সহবাসের দোয়া ভুলে গেলে কী হয়?
একটি প্রশ্নের উত্তরে ফতোয়াটি দেয়া হয়েছে। প্রশ্নটি হল - সহবাসের পূর্বে যদি দোয়া ভুলে যাই, তাহলে শয়তান আমাদের সতর দেখে ফেলে, অথবা এ ধরণের কিছু ঘটে। এ শ্রুতি কী সঠিক ? আর আমি যদি স্ত্রীর সাথে খেলাধুলা করি এবং তার সতর দেখি, এ জন্য কী সহবাসের দোয়া বলা ওয়াযিব ?
সহবাসের দোয়া ভুলে গেলে কী হয় ? প্রশ্ন
সহবাসের পূর্বে যদি দোয়া ভুলে যাই, তাহলে শয়তান আমাদের সতর দেখে ফেলে, অথবা এ ধরণের কিছু ঘটে। এ শ্রুতি কী সঠিক ? আর আমি যদি স্ত্রীর সাথে খেলাধুলা করি এবং তার সতর দেখি, এ জন্য কী সহবাসের দোয়া বলা ওয়াযিব ? উত্তর
আল-হামদুলিল্লাহ
প্রথমত :
যে তার স্ত্রীর সাথে সহবাসের করার ইচ্ছা পোষণ করে, তার জন্য বলা সুন্নত :
" بِسْمِ اللَّهِ ، اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ ، وَجَنِّبْ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا"
বুখারি : (৬৩৮৮) ও মুসলিম : (১৪৩৪)
ইবনে আব্বাস রাদিআল্লাহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন :
قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ( لَوْ أَنَّ أَحَدَهُمْ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَأْتِيَ أَهْلَهُ قَالَ بِاسْمِ اللَّهِ اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَوَجَنِّبْ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا ، فَإِنَّهُ إِنْ يُقَدَّرْ بَيْنَهُمَا وَلَدٌ فِي ذَلِكَ لَمْ يَضُرَّهُ شَيْطَانٌ أَبَدًا ).
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : “যদি তোমাদের কেউ স্ত্রী সহবাসের সময় বলে بِاسْمِ اللَّهِ اللَّهُمَّجَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَجَنِّبْ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا এবং তাদের ভাগ্যে সন্তান নির্ধারণ করা হয়, তবে শয়তান কখনো তার ক্ষতি করবে না।
বুখারির বর্ণনায় রয়েছে :
( لَمْ يَضُرَّهُ الشَّيْطَانُ وَلَمْ يُسَلَّطْ عَلَيْهِ ) .
শয়তান তার ক্ষতি করবে না, এবং তার উপর শয়তানকে প্রভাব বিস্তার করতে দেয়া হবে না। বুখারি : (৩২৮৩)
এ সব বর্ণনা প্রমাণ করে যে, সহবাসের সময় এ দোয়াটি পড়া সুন্নত, স্বামী-স্ত্রীর খেলাধুলার সময় নয়। রাসূলের বাণী : ( لَمْ يَضُرَّهُ شَيْطَانٌ أَبَدًا ) এর বিভিন্ন অর্থ বর্ণনা করা হয়েছে।
কেউ বলেছেন : এ সন্তানটি নেককারদের অন্তর্ভুক্ত হবে, যার উপর শয়তানের কর্তৃত্ব থাকবে না।
কেউ বলেছেন : শয়তান তাকে পরাস্ত করতে পারবে না, অথবা শয়তান তাকে কুফরির মাধ্যমে গোমরাহ করতে পারবে না, অথবা তার জন্মের সময় পিতার সঙ্গী হতে পারবে না যখন সে তার মায়ের সাথে সহবাস করে। কাজি ইয়াজ রা. বলেছেন : ( لَمْ يَضُرَّهُ شَيْطَانٌ أَبَدًا ) ‘তাকে ক্ষতি করতে পারবে না’ এর অর্থ কেউ বলেছেন : শয়তান তাকে পরাস্ত করতে পারবে না। কেউ বলেছেন : জন্মের সময়, অন্যান্য সন্তানের বিপরীতে, শয়তান তাকে খোঁচা দেবে না। তিনি বলেন : তবে সকল ক্ষতি, শয়তানি ওয়াসওয়াসা ও পথভ্রষ্টতা থেকে সে সুরক্ষা পাবে এ অর্থ কেউ করেন নি।
ইমাম নববি ‘সহীহ মুসলিমের ব্যাখ্যগ্রন্থে’বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। ইবনে দাকিকুল ঈদ রা. বলেছেন :
রাসূলের বাণী : (শয়তান তাকে ক্ষতি করতে পারবে না) ব্যাপক অর্থে নেয়া যায়, তখন এর অন্তর্ভুক্ত হবে দীনি ক্ষতি। আবার শারীরিক ক্ষতির বিবেচনায় একে বিশেষ অর্থেও জ্ঞান করা যায়, তখন এর অর্থ হবে শয়তান তাকে স্পর্শ করবে না, এবং তার শরীর ও বিবেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এমন কোন কর্ম করবে না। এ অভিমত বিশুদ্ধতার নিকটতর, যদিও খাস করা নীতি বিরুদ্ধ। কারণ, আমরা যদি ব্যাপকের অন্তর্ভুক্ত করি, তার অর্থ দাড়ায় : সন্তানটি মাসূম ও সকল গোনা থেকে পবিত্র হবে। আর এটা নাও হতে পারে, বা হলেও খুব কম, আবার রাসূল যে সংবাদ দিয়েছেন, তা সত্যে পরিণত হওয়াও জরুরি। আর আমরা যদি আকল ও শরীরের ক্ষতি বিবেচনা করি, তবে তা অসম্ভব নয়, এবং তার বিপরীত অর্থ প্রকাশ করার কোন দলিলও নেই। দ্বিতীয়ত :
এ দোয়া যে পড়ে এবং পরবর্তীতে যাকে সন্তান দেয়া হয়, তার জন্য এ হাদিসে ওয়াদা রয়েছে : “শয়তান তার ক্ষতি করবে না।” তবে যে এ দোয়া পড়তে ভুলে যায়, শয়তান তার সন্তানের অবশ্যই ক্ষতি করবে, এমন কিছু এ হাদিসে নেই। বরং তা কতক মনীষী থেকে বর্ণনা করা হয়েছে।
তাই, আল্লাহ সন্তানকে শয়তান থেকে হিফাজত করবেন, এ আশায় নিয়মিত এ দোয়াটি পড়ে নেয়া জরুরি। তৃতীয়ত :
মুসলিমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আদব হলো, পরিপূর্ণরূপে সতর ঢাকা এবং সতর হিফাজত করা, যাতে কেউ না দেখে। আর মানুষ যেহেতু কতক সময় সতর খুলতে বাধ্য হয়, যেমন পেশাব-পায়খানা, অথবা স্ত্রী সহবাস, অথবা অন্য কোন প্রয়োজনে, তখন তার জন্য বৈধ করা হয়েছে যে, সে জীনদের থেকে আড়াল হবে, যারা তাকে দেখছে। অথবা সে তার নির্দিষ্ট স্থানে আল্লাহর যিকরের মাধ্যমে প্রবেশ করবে। যেমন পূর্বের হাদিসে আল্লাহর যিকরের মাধ্যমে শয়তানের কষ্ট থেকে নিরাপত্তা অর্জন করতে বলা হয়েছে।
আলী ইবনে আবি তালিব রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত :
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ( قَالَ سَتْرُ مَا بَيْنَ أَعْيُنِ الْجِنِّ وَعَوْرَاتِ بَنِي آدَمَ إِذَا دَخَلَ أَحَدُهُمْ الْخَلَاءَأَنْ يَقُولَ بِسْمِ اللَّهِ ) رواه الترمذي (606) وصححه الألباني .
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : “বনি আদমের সতর ও জিনদের দৃষ্টির মাঝে পর্দা হল যখন তাদের কেউ টয়লেটে যাবে, তখন বলবে : بِسْمِ اللَّهِ
ইমাম নববি রাহিমাহুল্লাহ ‘কিতাবুল আযকারে’ (পৃ.২২) বলেছেন : باب ما يقول إذا خلع ثوبه لغسلأو نوم أو نحوهما তাতে তিনি এ হাদিস উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ ভাল জানেন।

স্বামী স্ত্রী সহবাসের দোয়া, সহবাস নিষিদ্ধ হওয়া ও কিছু নিয়ম
মহান আল্লাহতায়ালা প্রত্যেক পুরুষের জন্য স্ত্রী হিসেবে একজন নারীকে মনোনিত করে রেখেছেন। এই স্ত্রীর সাথে আল্লাহর দেওয়া বিধান অনুযাই সহবাস করলে আমরা সহজেই তৃপ্তি লাভ করতে পারি। বেঁচে যেতে পারি এইডস এর মত নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে।
মহান আল্লাহতায়ালা বলেন, হে পুরুষ সম্প্রদায় আমি তোমাদের জন্য তোমাদের স্ত্রীকে হালাল করে দিয়েছি। যাতে করে তোমরা শয়তানের ধোঁকায় পরে বিপথগামী না হও।
ধর্ম ও জীবনের আলোচনায় আজ আমরা জেনে নিব স্বামী স্ত্রী সহবাসের দোয়া, কখন সহবাস নিষিদ্ধ ও সহবাসের কিছু নিয়ম
সহবাসের দোয়া : ‘বিসমিল্লাহি জান্নিবিনা শাইত্বানা ওয়া জান্নিবিশ শাইত্বানা মা রাযাকতানা’ অর্থাৎ হে আল্লাহ আমাকে শয়তান হতে বাঁচার এবং আমার জন্য যা হালাল করেছ তাহা হইতে শয়তানকে বিতারিত করো।
সহবাস নিষিদ্ধ : (১) রোগী ব্যক্তি সহবাস করিলে তার রোগ আরো বেড়ে যায় এবং শরীরের ক্ষতি হবে (২) শরীরে জ্বর ও বেশি গরমে স্ত্রী সহবাস পাগল হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে (৩) বৃদ্ধা ও বারবনিতার সঙ্গে সহবাস করলে আয়ু কমে যায় (৪) হায়েজের অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করলে স্বামী স্ত্রী দুই জনেই রোগ হতে পারে (৫) নিকৃষ্ট স্ত্রী সাথে করলে নিকৃষ্ট সন্তান জম্ম লাভ করে (৬) ভরা পেটে স্ত্রী সহবাস করলে কঠিন রোগ হবে (৭) অন্ধকার ঘরে ক্ষুদ্র বা নোংড়া জায়গায় স্ত্রী সহবাস করলে চিরতরে স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে যায় (৮) ভীষণ ক্ষুধার সময় স্ত্রী সহবাস করিলে লিঙ্গ শিথিল হয়ে যায়।
স্বামী স্ত্রী সহবাস করার কিছু নিয়ম কানুন : (১) রাত্রি দ্বি-প্রহরের আগে সহবাস না করা (২) ফলবান গাছের নিচে সহবাস না করা (৩) সহবাসের প্রথমে দোয়া পড়া (৪) বিসমিল্লাহ বলে শুরু করা (৫) সহবাস করার সময় নিজের স্ত্রীর রূপ দর্শন শরীর স্পর্শন ও সহবাসের সুফলের প্রতি মনো নিবেশ করা ছাড়া অন্য কোনো সুন্দরি স্ত্রী লোকের বা অন্য সুন্দরী বালিকার রুপের কল্পনা না করা (৬) রবিবারে সহবাস না করা (৭) বুধবারের রাত্রে সহবাস না করা (৮) চন্দ্র মাসের প্রথম এবং পনের তারিখ রাতে সহবাস না করা (৯) স্ত্রীর জরায়ু দিকে চেয়ে সহবাস না করা, ইহাতে চোখের জ্যোতি নষ্ট হয়ে যায় (১০) বিদেশ যাওয়ার আগের রাতে স্ত্রী সহবাস না করা (১১) সহবাসের সময় বেশি কথা না বলা (১২) নাপাক শরীরে সহবাস না করা (১৩) উলঙ্গ হয়ে কাপড় ছাড়া অবস্থায় সহবাস না করা (১৪) জোহরের নামাজের পরে সহবাস না করা (১৫) স্বপ্নদোষের পর গোসল না করে স্ত্রী সহবাস না করা (১৬) পূর্ব-পশ্চিম দিকে শুয়ে সহবাস না করা।
সর্বশক্তিমান আল্লাহ তার দেওয়া হুকুম মেনে সবাইকে সহবাস করার তৌফিক দান করুন। আমীন

স্ত্রী সহবাসের দোয়া।
স্ত্রী সহবাসের দোয়া।
উচ্চচারনঃবিসমিল্লাহি জান্নিবিনা শাইত্বানা ওয়া জান্নিবিশ শাইত্বানা মা রাযাকতানা ।
অনুবাদঃহে আল্লাহ আমাকে শয়তান হতে বাঁচার এবং আমার জন্য যা হালাল করেছ তাহা
হইতে শয়তানকে বিতারিত করো।
নিষিদ্ধ সঙ্গমের দোষ জ্ঞানী ও হেকিমগন নিষিদ্ধ সঙ্গমের ফল সম্বন্ধে নিন্মোক্তরূপ বলিয়াছেন_
১/ রোগাক্রান্ত ব্যক্তি সঙ্গম করিলে রোগ আরও বৃ্দ্ধি হয় এবং শারীরিক ক্ষতিক হয়।

২/ চিন্তা, ক্রোধ, কষ্ট ও ভীত অবস্থায় স্ত্রী সঙ্গম করিলে দুরারোগ্য

ব্যাধিতে আক্রান্ত হয় এবং সেই কারনে পাগল হইতে পারে।

৩/জ্বরের অবস্থায় বা অত্যন্ত গরমের মধ্যে সঙ্গম করিলে হঠাৎ পাগল
হইয়া যাইতে পারে।

৪/অত্যন্ত ঠান্ডার ভিতরে সঙ্গম করিলে নিউমোনিয়া হইতে পারে।

৫/বৃদ্ধা ও বেশ্যার সহিত সঙ্গম করিলে আয়ু ক্ষয় হয়।

৬/নিকৃষ্ট স্ত্রীলোকের সহিত সঙ্গম করিলে কুসন্তান লাভ হয়।

৭/বৃদ্ধ বয়সে স্ত্রী সঙ্গম করিলে নিজেকে মৃত্যু্র দিকে টানিয়া আনা হয়।

৮/ হায়েজের অবস্থায় সঙ্গম করিলে স্বামী স্ত্রী উভয়েই প্রমেহ রোগে আক্রান্ত হয়।

৯/অত্যধিক পিপাসার পর পানি পান করিয়া স্ত্রী সঙ্গম করিলে অনিষ্টের আশস্কা আছে।

১০/ অন্ধকারাচ্ছান্ন, ক্ষুদ্র ও নোংরা জায়গায় সঙ্গম করিলে চিরতরে স্বাস্হ্য নষ্ট হয়।

১১/ ভরা পেটে সঙ্গম করিলে ভয়াবহ রোগ জম্নিয়া থাকে।

১২/ অত্যন্ত ক্ষুধার সময় স্ত্রী সঙ্গম করিলে জননেন্দ্রিয় শিথিল হইয়া যায়।

১৩/ অত্যন্ত পিপাসার সময় স্ত্রী সঙ্গম করিলে থাইসিস রোগ হইতে পারে।

সহবাস নিষিদ্ধ হওয়ার কারন সমূহ?

নিষিদ্ধ সময়ে স্ত্রী সহবাস করা খুবই খারাপ কাজ।
জ্ঞানীরা বলেনঃনিষিদ্ধ সময়ে স্ত্রী সহবাস শরীরের এবং মনের অনেক ক্ষতি সাধন করে থাকে।
তার মধ্যে ১২ টি বিষয় আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলঃ
১) রোগী ব্যক্তি সহবাস করিলে তার রোগ আরো বেড়ে যায় এবং শরীরের ক্ষতি হয়।
২) শরীরে জ্বর নিয়ে স্ত্রী সহবাস পাগল হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা আছে।
৩) বৃদ্ধা ও বারবনিতার সঙ্গে সহবাস করলে আয়ু কমে যায়।
৪) বেশি গরমে মধ্যে স্ত্রী সহবাস করিলে পাগল হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে।
৫) রাগ, চিন্তা, কষ্ট ও ভয়জনিত অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করলে কঠিন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
৬) বেশি ঠাণ্ডার ভিতরে সহবাস করলে নিউমোনিয়া রোগ হতে পারে।
৭) হায়েজের অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করলে স্বামী স্ত্রী দুই জনেই মেহ প্রমেহ রোগ হতে পারে।
৮)নিকৃষ্ট স্ত্রী সাথে করলে নিকৃষ্ট সন্তান জম্ম লাভ করে।
৯) ভরা পেটে স্ত্রী সহবাস করলে কঠিন রোগ হওয়ার সম্ভবনা আছে।
১০) অন্ধকার ঘরে ক্ষুদ্র বা নোংড়া জায়গায় স্ত্রী সহবাস করলে চিরতরে স্বাস্হ্য নষ্ট হয়ে যায়
১১) ভীষণ ক্ষুধার সময় স্ত্রী সহবাস করিলে লিঙ্গ শিথিল হয়ে যায়।
১২) বৃ্দ্ধ বয়সে স্ত্রী সহবাস করলে নিজেকে মৃত্যুর দিকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

স্বামী-স্ত্রী সহবাসের পরে কি করতে হয়?

স্বামী-স্ত্রী সহবাসে উভয়ের বীর্য বাহির হওয়ার পর কিছু সময় নড়াচড়া না করে মিলিত অবস্থায়
থাকতে হবে।
অর্থাৎ স্ত্রী নীচে এবং স্বামী উপরে থাকবে।
তাতে বীর্য জরায়ুতে ঠিক মত প্রবেশ করিতে সুবিধা হয়।
তা না হলে বীর্য বাহিরে পড়ে যেতে পারে।
আর বীর্য বাহিরে পড়লে গর্ভ সঞ্চার হয় না।
সহবাসের পর হালকা গরম পানি দিয়ে স্বামী স্ত্রীর দুই জনের যৌনাঙ্গ ধুয়ে ফেলতে হয়।
ঠাণ্ডা পানিতে ধোয়া উচিৎ নয়?
তারপর স্বামী স্ত্রী দুইজনে কিছু মধু সেবন করে নিবেন।
তার পর দুই জনে ফরজ গোসল করে ফযরের নামাজ আদায় করে নিবেন।

সঙ্গমের বিধি -নিষেধ।

স্ত্রী সঙ্গমের বিধি-নিষিধের প্রতি দৃষ্টি রাখা পুরুষের একান্ত কর্তব্য।
ইহাতে ভুল করিলে জীবন ধবংসের পথে যায়।
উক্ত বিষয়ের প্রতি হুশিয়ারি হওয়ার জন্য নিম্মে কতিপয় নিয়ম লিপিবদ্ধ করা গেল।
১/ গর্ভাবস্থায় চারি মাস গত হইয়া যাওয়ার পর স্ত্রী সঙ্গম সন্তানের উভয়েরই ক্ষতি করে।
তখন হইতে স্বামী-স্ত্রীর সংযমী হওয়া উচিৎ।
২/রোজার মধ্যে দিনে সঙ্গম করিলে গুনাহগার হইতে হয়।
রাত্রে নিষেধ না থাকিলে ও সঙ্গম করিলে স্বাস্হের পক্ষে অত্যাধিক ক্ষতি হয়।
অতএব, রোজার একমাস সঙ্গম বন্ধ রাখায় ভাল।
৩/হায়েজ - নেফাছের সময়ে সঙ্গম করিলে স্বামী স্ত্রী উভয়েই গুনাহগার হইবে এবং উভয়ের, বিশেষতঃ
স্বামীর স্বাস্হহানি হইবে।
৪/ পুরুষ অবৈধভাবে অবৈধ স্ত্রী সঙ্গে বা নিজ স্ত্রীর পায়ু পথে সঙ্গম করিলে শুধু গুনাহগার হইবে তাহা নহে,
বরং ভয়ঙ্কর ক্ষতি সাধন হইতে পারে।
৫/পূর্বেই বলা হইছে যে বৃদ্ধার সহিত যুবকের মিলন ও বৃদ্ধের সহিত
যুবতির অত্যন্ত অপকারী, উহা ইসলামের রীতি বিরুধে।
উক্ত রুপ বিবাহ ক্রিয়া যাহাতে সংঘটিত না হয়, তৎপ্রতি দৃষ্টি রাখা সকল বিজ্ঞ ,
বিদ্ধানের উচিত।কারন শাস্ত্র বিজ্ঞান বিদ্বানেরাই সৃষ্টি করিয়াছেন।

উল্টা সঙ্গমের দোষ।
অশিক্ষিতদের মধ্যে স্ত্রির-সঙ্গমের নিয়ম কানুন সম্বন্ধে অতি অল্প লোকেই জানে। অশিক্ষিতদের মধ্যে ইহা শুধু যুগ পরস্পরা চলিয়া আসিতেছে।
এমন নির্লজ্জ অথচ অর্ধ শিক্ষিত লোক আছে, যাহারা পশুকে গুরু মানিয়া পশুর ন্যায় উল্টা
সঙ্গম করিতে লজ্জা বা অসুবিধাবোধ করে না।
আজ কাল এক প্রকার জীবের সৃষ্ট হইয়াছে,
উহারা শিক্ষিত হইয়া বিদেশী ও বেজাতীর রুচির অনুসরন করিয়া দণ্ডায়মান
অবস্থায় রতিক্রিয়া সম্পন করে।
উহাদিগকে নাকি এদেশের শিক্ষিত যুবক-যুবতি বলা হয়।
জ্ঞানীগন বলেন, কতিপয় দিন ক্রমান্বয়ে দণ্ডায়মান হইয়া স্ত্রী সঙ্গম করিলে
পুরুষের সর্বাঙ্গ অকর্মণ্য হইয়া পড়ে। দুনিয়া যাহা অস্বাভাবিক , পাশ্চাত্যের নিকট তাহাই স্বাভাবিক।
তাহাকেই এদেশীয় যুবক-যুবতিরা অনুসরণ করে।
ইহাতে স্বামী স্ত্রী ঊভয়ই ভগ্ন স্বাস্হ্য না হইয়া পারে না।
উক্ত প্রকার সঙ্গম কারনে সন্তান জম্নিলে উহা নির্লজ্জ ,লম্পট অর্থাৎ
পর স্ত্রী হরনকারী হইবে।
বহুদিন যাবৎ দণ্ডায়মান হইয়া সঙ্গম করিলে কোন একটা কঠিন ব্যাধিতে আক্রমন করিবেই।
স্বামী চিৎ হইয়া স্ত্রী কে বুকের উপর লইয়া সঙ্গম করিলে সন্তান লম্পট হইবে এবং স্বামী হঠাৎ
কোনো কঠিন রোগে আক্রান্ত হইবে।
স্বামী স্ত্রী বসিয়া কুঁজো ভাবে সঙ্গম করিলে সন্তান কুঁজো হইবে এবং তাহা ফিক ব্যথায় অর্থাৎ
পার্শ্বে বেদনায় আক্রান্ত হইবে।
বসিয়া সঙ্গম করা স্বাস্হ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর।
ডান কিম্বা বাম পার্শ্বে যে কোনো পার্শ্বে কাৎ হইয়া সঙ্গম করিলে উহার ফলে কানা ,খোঁড়া,
লুলা,লেংড়া প্রভৃতি সন্তানের জম্ম হয়।
মূল কথাঃ স্ত্রী কে চিৎ করিয়া শোয়াইয়া স্ত্রীর উরুর মাঝে স্বামী হাটু পাতিয়া খুশি মত
যোনী পথে সঙ্গম করিলে তাহাই কে স্বাভাবিক সঙ্গম বলে।
উহাতে কোন ক্ষতির আশঙ্কা করা যায় না।
কথিত আছে পাশ্চাত্যগণ ও উক্ত প্রকার সঙ্গম রীতি পছন্দ করে।
উত্তর দক্ষিণ শুয়ে সঙ্গম করিতে হয়, পূর্বে - পশ্চিম শুয়ে সঙ্গম করিবেন না।

অতিরিক্ত সঙ্গমের ক্ষতি,সবাই পড়ে নিন।সৈয়দ রুবেল।

অতিরিক্ত সঙ্গমের ফলে যোনীদ্বার ক্ষত বিক্ষত ও জরায়ু দুর্বল হইয়া যায়।
সুতরাং জরায়ুতে পুরুষের বীর্য স্হির থাকিতে পারে না।
তাহার ফলে সন্তান উৎপাদন সুদূরপরাহত হইয়া উঠে।
তাহা ছাড়া যোনীর শিরা গুলি ঢিলা হইয়া পড়ে।
যার কারণে স্বামী স্ত্রী উভয়েই সুখ অনুভব করতে পারেনা।
বরং স্ত্রীর নিকট যন্ত্রনার কারন হয়ে দাঁড়ায়।
এমন অবস্হায় স্ত্রীর কঠিন রোগ হইয়া পড়ে।
শরীর কল্কালসার হয়,চেহারা বিশ্রী হইয়া যায়।
এবং অনিয়মিত হায়েজ ও পরিপাক শক্তি হ্রাস পায়।
এই ভাবে স্ত্রীর জীবন বিপজ্জনক হইয়া উঠে।
পুরুষের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটিলে সেই সঙ্গে মানসিক
অবস্থার ও অবনতি সংঘটিত হয়, পড়ে উহা প্রকৃ্ত অবস্থায় আনিতে বহু সমস্যার
সৃষ্ট হয়।
অত্যাধিক শুক্র ক্ষয়ের ফলে পুরুষত্বহানির আশঙ্কা হইয়া থাকে।
ক্রমে ক্রমে ধাতু দুর্বলতা , শুক্রতারুল্য, জননেন্দ্রিয়ের শিথিলতা,
মাংসেপেশরি অবসন্নতা, প্রমেহ, ঘূর্ণন ইত্যাদি দুরারোগ্য ব্যা্ধিতে পাইয়া বসে।
এই ভাবে ক্রমশঃ শয্যা শয়ী হইয়া হইয়া প্রিয়তমার সহিত মিলন স্পৃহা হইতে সম্পুর্ণ বঞ্চিত হইয়া
অকালে গোরগহ্বরে প্রস্হান করে।

এই বিষয়টি জানার পরও যে পুরুষ তার স্ত্রীর প্রতি যত্নবান নায় হয়?
সেই সমস্ত স্বামীদের জন্য সর্তক বার্তা হলো, তোমার মতো স্বার্থ পর স্বামী বাংলার বউ দের দরকার নাই।
তুমি তোমার স্ত্রীর মনের খবর নেও।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা সেক্স করেও যদি তুমি তোমার সেক্সের জ্বালা মিটাতে না পারো?
তা হলে সাগরে ঝাঁপ দিয়ে মরো।
এর চাইতে ভালো পরামর্শ আমার জানা নাই।
যদিও আমার ব্লগের নাম জানার আছে অনেক কিছু,
তুবুও আমি জানিনা অনেক কিছু।

স্ত্রী সহবাসের উপযুক্ত সময়
স্ত্রী সহবাসের উপযুক্ত সময়

স্ত্রী সহবাসের উপযুক্ত সময় শেষ রাত্রি ।
যেহেতু শেষ রাত্রে ভুক্ত খাদ্য ভাল রূপ হজম হওয়া পর শরীর
যখন ঠিক হয়, তখন যদি অন্তঃকরণের সরলতা ও পবিত্রতা রক্ষা করিয়া একাগ্র মনে
স্বামী -স্ত্রী মিলন হয়,
তাহা হইলেই অধিকতর তৃপ্তি লাভ করিতে পারে।
সেই রাত্রের সহবাসে স্বাস্হ্যবান সন্তানের জম্ম হয়।
প্রমান পাওয়া যায়, শেষ রাত্রের সহবাসের সন্তান ধার্মিক,
সাধু ও আওলিয়া- দরবেশ হইয়াছে।

সহবাসের নিষিদ্ধ সময়।

প্রথম জানিয়া রাখা উচিৎ স্ত্রী লোকের হায়েজ ও নেফাছের সময়ে সহবাস
করা হারাম।
তা ছাড়া দিনে ঠিক দ্বিপ্রহরে, রাত্রে ঠিক দ্বিপ্রহরে, বুধবার রাত্রে , রবিবার রাত্রে, অমাবস্যার রাত্রে,
চাদের প্রথম তারিখে ও পনর তারিখে রাত্রে,ঈদুল ফিতর ও ইদুল আযহার রাত্রে, সূর্যের উত্তাপে,
ছাদ বা চালশূন্য ঘরে, চন্দ্র-সূর্য গ্রহনের সময়ে এবং প্রবাস গমনের পূর্বে রাত্রে স্ত্রী সহবাস নিষিদ্ধ
তিরমিয শরীফে বর্ণিত আছে ,হরযত রাসূল করীম (সাঃ)ফরমাইছেন,
বুধবার রাত্রের সহবাসের সন্তান পিতা মাতা কে কষ্ট দিয়ে থাকে।
চাঁদের প্রথম ও পনর তারিখের সহবাসের সন্তান পাগল ও অত্যাচারী হয়।
ঈদুল আযহাতে রাত্রের সহবাসের সন্তান বাইশ আঙ্গুল বিশিষ্ট হয় এবং বিদেশ গমনের পূর্বে রাত্রের
সহবাসের সন্তান অপব্যয়ী ও পিতা মাতার অবাধ্য হইয়া থাকে।

বয়স অনুযায়ী স্ত্রী সহবাসের ফল।
স্ত্রীলোকের বয়স অনুযায়ী বিভিন্ন নাম হইয়া থাকে।
যথা-তরুনী,যুবতী,বুড়ীও পাকা বুড়ী।

১৬ বসরের স্ত্রীলোক কে তরুণী বলে।
১৬ হইতে ৩৩ বসরের স্ত্রীলোক কে যুবতী বলে।
৩৩ হইতে ৫০ বসরে স্ত্রী লোককে বুড়ী বলে।
৫০ হইতে এর বেশি স্ত্রী লোক কে পাকা বুড়ী বলে।
তরুণী স্ত্রী লোককে দর্শন করিলে ও তরুণীর সঙ্গে রমণ করিলে
বৃদ্ধ স্বামী ও তরুন হইয়া যায়।
মিলন মাধুর্যের মধ্যে দিয়ে স্বামী তরুণী হইতে যে অমিত সুখের স্বাদ গ্রহন করে,
তাহা ভাষায় ব্যক্ত করা যায় না।
স্বামী আন্তরিক শান্তি ও শারীরিক সুখ লাভ করিয়া তরুণের মত বল সঞ্চয় করে।
যুবতী সহজ পাত্রী নহে , তাহার সম-সাস্থ্য সম্পন স্বামী ছাড়া তাহার স্বাদ মিটাইতে পারা যায় না।
অতএব, যুবতী স্ত্রীর যুবক হওয়াই বাঞ্ছনীয়।
অন্যথায় তাহার নিকট হার মানিতেই হইবে,
তবে মাঝে মাঝে সংযম করিলে আর হারিবার আশঙ্কা নাই।
সংযমী হইয়া যুবতীর সঙ্গে সঙ্গম করিলে বৃদ্ধ ও যুবক হইয়া দাঁড়ায় ।
বুড়ীর সঙ্গে সহবাস করিলে তাহার স্বামী যুবক হউক আর বৃদ্ধ হউক,
অত্যন্ত দুর্বল হইয়া পড়িবে।
পাকা বুড়ীর সঙ্গে সহবাস করা কারো উচিৎ না।
থার স্বামী তরুন হলেও বৃদ্ধ হইয়া যায়।
ইহার নিপুঢ় রহস্য হইতেছে যে না বুড়ী আনন্দ পায়?
না বুড়ীর স্বামী আনন্দ পায়।
যুবক হউক আর বৃদ্ধ হউক , স্বামী-স্ত্রী উভয়েই সমান হওয়া আব্যশক।
একজন বালিকা অন্য জন বৃদ্ধ হইলে বা একজন সুস্থ ও অন্যজন রোগা হইলে সেই
সংসার সুখের হয়না। তবে ঘতনা চক্রে যদি এইরূপ হইয়া পড়ে,
নিম্মলিখিত নিয়ম অবলম্বন করিবেন।
১। তরুণী র সঙ্গে বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ্‌ ,ভাদ্র, ও আশ্বিনে।
২।যুবতির সঙ্গে পৌষ মাসে,
৩ বুড়ীর সঙ্গে আষাঢ় শ্রাবন ও চৈত্র মাসে সহবাস করিলে মিলনের স্বাদ পাইবে। সাস্থ্য ভালো থাকিবে।
৪ পাকা বুড়ীর সঙ্গে সহবাস করার আকাঙ্কা না করাই ভালো।
তবে একান্তে আকাঙ্কা হইলে দুই এক মাস পরপর সহবাস করিতে পারা যায়।
তাহাতে সাস্থ্যর কিছু ক্ষতি হইবে না।

পরিশেষে বলা হইয়াছে হইয়াছে যে ,রোগা- কুৎসিত ও নোংরা স্বামী হউক আর স্ত্রী ি হউক,
যাহার সহিত যাহার সহবাস করিতে ভক্তি ভা হয়,তাহার সহিত ইচ্ছাকৃ্ত বা অনিচ্ছা সত্তেও সহবাস
করিলে ফল ভালো হয়না।

যৌন জীবন ও লজ্জা শরম...

মুসলিম পরিবারে লজ্জা এক বিরাট সম্পদ। এই লজ্জা নৈতিক চরিত্রকে রক্ষা করে।
ইসলাম লজ্জা-শরমের যে ব্যাখ্যা দান করেছে পৃথিবীর কোন সভ্যতায় , কোন জাতির মধ্যে , কোন ধর্মেও নেই।
হিন্দু ধর্ম তো যৌনিস্থান ও পুংলিঙ্গকে পূজা পর্যন্ত করে। শিবের উত্তেজিত লিঙ্গ যৌনি গহ্বরে প্রবেশ করে আছে,
হিন্দুরা সেটাকে পূজা করে। পৃথিবীতে বর্তমানে যারা নিজেদেরকে সুসভ্য জাত বলে দাবী করে ,
পোষাক তাদের কাছে লজ্জা আবরণের মাধ্যম নয়। সৌন্দর্য প্রকাশের মাধ্যম। ওদের নারী-পুরুষগণ শত সহস্র মানুষের
সামনে যৌন ক্রিয়া করে, উলঙ্গ হয়ে গোসল করে। কিন্তু ইসলামে পোশাক দ্বারা নারী- পুরুষের গোপন অঙ্গ আবৃতি
করার গুরুত্ব বেশী, সৌন্দর্য প্রকাশের গুরুত্ব কম। পর পুরুষ- নারী তো দূরে থাক, স্বামী স্ত্রী একে অপরের সামনে
বস্ত্রহীন উলঙ্গ হওয়াকেও ইসলাম পছন্দ করে না। মহানবী (সাঃ) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে কেউ স্ত্রীর নিকটে গমন
করলে তার উচিত সতরের দিকে লক্ষ্য রাখা , গর্দভের ন্যায় উভয়ে যেন উলঙ্গ হয়ে না পড়ে।
হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেছেন, তিনি কোন দিন তার স্বামী মহানবীর (সাঃ) এর লজ্জাস্থান দেখেননি।
মানুষ নিবৃতে কোনস্থানে একাকী উলঙ্গ থাকবে ,এ অনুমতি না দিয়ে বলেছেন আল্লাহর সামনে তোমরা বেশী লজ্জা করো।
বিশ্ব নবী (সাঃ) বলেছেন, সাবধান! কখনো উলঙ্গ থাকবে না। কারণ তোমাদের সাথে আল্লাহর ফেরেস্তা আছে।
তারা তোমাদের থেকে পৃথক হন না। তারা তখনই পৃথক হন যখন তোমরা স্ত্রীর সাথে যৌন ক্রিয়া করো এবং মল ত্যাগ করতে
যাও, সুতরাং ফেরেস্তাদের কে লজ্জা করো ও তাদেরকেও সম্মান দেখাও।

স্বামী-স্ত্রী অন্যের যৌন ব্যাপারে আলোচনা করবে না।

মুসলিম পরিবারের স্বামী -স্ত্রী পরস্পর কেউ-ই কারো কাছে অন্য নারী পুরুষের গোপন অঙ্গের বর্ণনা বা অন্যের
যৌন জীবন সম্পর্কে আলোচনা করবে না। কারণ শয়তান মানুষকে পথভ্রষ্ট করার জন্যে সর্বদা চেষ্টা চাপিয়ে যাচ্ছে।
যার যৌন যৌনজীবন সম্পর্কে স্বামী- স্ত্রী পরস্পর আলোচনা করছে, তাদের প্রতি উভয়ের বা যে কোন একজনের
মনে শয়তান কুপ্রভৃত্তি জাগিয়ে দিতে পারে।
এ ব্যাপারে মহানবী (সাঃ) স্পষ্ট নিষেধ করে বলেছেন, নারী পুরুষকে নিষেধ করা হয়েছে যে , তারা যেন তাদের দাম্পত্য
সম্পর্কিত গোপন অবস্থা অপরের নিকটে বর্ণনা না করে। কারণ , এতে করে অশ্লীলতার প্রচার হয় এবং মনের মধ্যে প্রেমাসক্তির
সঞ্চার হয়।(আবু দাউদ)

স্বামী স্ত্রীর সমান অধিকার


পবিত্র কুরআনে একথা ঘোষণা করেছে যে, হে মানব তোমাদের প্রভুর প্রতি সজাগ হও;
তিনি তোমাদের কে একটি প্রাণ থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং একই প্রান থেকে তোমাদের
জীবন সঙ্গিনীদের কে সৃষ্টি করেছেন ।(৪_১)

উক্ত আয়াত থেকে প্রমাণিত হয় উৎসগত দিক দিয়ে নারী পুরুষ পরস্পর সমান।
আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে নারী পুরুষ উভয়েই সন্মানের পাত্র।
হযরত মুহান্মদ (সাঃ) প্রদর্শিত জীবনাদর্শে মৌলিক ভাবে সকলেই সমান পরিগণিত
হয়েছে।
যেমন ইসলামের বিধান চোর, নারী হোক বা পুরুষ হোক, সে যদি ১০ দিরহাম
বা তুদুমুল্যের সম্পদ চুরি করে, তবে তার হাত কাটা হবে।(মায়িদা ৩৮)

তেমনি ব্যভিচারী নারী হোক বা পুরুষ হোক অবিবাহিতা হলে একশত দোরা মারার হুকুম।( সুরা নুর)

আর বিবাহিত হলে সঙ্গে সারের হুকুম।
কিসাস বা হত্যার বদলে হত্যার বিধানেও নারী পুরুষ উভয়ে সমান গণ্য (সুরা বাকারা_ আয়াত ১৭৫)

রাসুলে (সাঃ) বলেছেনঃ স্ত্রী হত্যা কারী পুরুষের প্রাণ দন্ড হবে।
তা ছাড়া ইসলামী জীবন ব্যবস্থায় যেমনঃ নামায রোজা ইত্যাদি ক্ষেত্রে ও নারী পুরুষ সবাই সমান।

পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছেঃ যে ঈমান আনে সৎ কর্মে প্রবৃত্ত হবে, সে নারী হোক
বা পুরুষ, তারা সকলেই হবে জান্নাত বাসী।

ঋতুকালীন সময় স্বামী স্ত্রীর কর্তব্য।

* অতিরিক্ত পরিশ্রমের কাজ করা নিষেধ ।
*একেবারে বিশ্রাম করা উচিৎ নয়।
*অতিরিক্ত কাপড় ধৌত করে ঠাণ্ডা লাগানো উচিৎ নয়।
*প্রসাব অঙ্গে নেকড়া বা কাপড়ের টুকরো দ্বারা এমন ভাবে বাঁধিয়া রাখিবেযাহাতে রক্তের ধারা কোন ক্রমেই বাহিরে না আসিতে পারে ও পরনের কাপড়ে না লাগিতে পারে।
* এ সময়ে বেশী পরিস্কার - পরিচ্ছন্ন থাকা দরকার।
* যাহারা বেশী অস্বস্তি বোধ করে তাহারা মাথায় ধূয়ে ফেলিবে।
*এই সময়ে বেশী রাত্রি জাগরণ করা উচিৎ নয়।
* কিঞ্চিৎ উষ্ণ পানিতে গোসল করা উচিৎ।
* ভিজা স্যাতস্যাত স্থানে শয়ন না করিয়া শুকনা স্থানে শোয়া উচিৎ।
* গরম পানি পান করা উচিৎ।
* দৃঢ়তার সাথে সংযম রক্ষা করা কর্তব্য।অর্থাৎ সহবাস নিষিদ্ধ।
* শৌচাদি গরম পানি দ্বারা করা উচিৎ।
* গৃহের অন্যান্য লোক যে তাহাকে ঘৃণা না করে। তাহার হাতের রান্না খাওয়া কোন দোষ নেই।
* এই সময় স্বামী যেন তাহাকে ঘৃণা না করে। তাহার সাথে এক সয্যায় শয়ন করিতে
কোন দোষ নাই, স্পর্শ ও চুম্বানাদিতেও অপরাধ নেই। শুধু সঙ্গম করা নিষিদ্ধ।

পর্দা সম্বন্ধে কিছু হাদিস......।
* রাসূলুল্লাহ (সাঃ) হযরত আলীকে লক্ষ্য করিয়া বলিলেন, হে আলী হঠাৎ যদি
কোন নারীর প্রতি লক্ষ্য পড়ে তা হলে পুনঃ দ্বিতীয় ইচ্ছা পূর্বক দৃষ্টি করিও না ।
কারন প্রথম বারের দৃষ্টি ক্ষমার যোগ্য কিন্তু দ্বিতীয় বারের দৃষ্টিতে শাস্তি পাইতে হইবে।
(তিরমিজী)

* হাদীছে কুদছীতে বর্ণিত আছে যে ল্লাহ তায়ালা বলিয়াছেন, মানুষের দৃষ্টি ও চাহনী
শয়তানের একটি বিষাক্ত তীর স্বরূপ । যদি কেহ আমার ভয়ে দৃষ্টি সম্বরন করে তবে
আমি তাহার ঈমান কে মজবুত করিয়া দেই, যাহার স্বাদ সে পাইতে থাকে।(তেবরানী)

* আদম সন্তানের উপর যত রকমের পাপের অংশ নির্ধারণ করা আছে,
তাহাতে সাধারন; তাহারা লিপ্ত হইয়া থাকে। গায়েরে মোহরেম নারীর প্রতি দৃষ্টি
করিলে দুই চোখের জেনা হইয়া যায়, গায়েরে মোহরেম নারীর কথা শুনিলে
কানের জেনা হইয়া যায়, গায়েরে মোহরেম নারীর সাথে কথা বলিলে মুখের জেনা হইয়া যায়, গায়েরে মোহরেম স্পর্শ করিলে হাতের জেনা হইয়া যায়,
গায়েরে মোহরেমের উদ্দেশে পথ চলিলে পায়ের জেনা হইয়া যায় এবং জেন্র ইচ্ছে
করিলে অন্তরের জেনা হইয়া যায়।( আহম্মদ) * রাসূলূল্লাহ (সাঃ) বলিয়াছেন , মানুষের প্রত্যেক দৃষ্টিতে শয়তানের আশা জড়িত থাকে।(বয়হাকী)

* রাসূলূল্লাহ (সাঃ) বলিয়াছেন , আপন দৃষ্টিকে সংযত রাখ এবং লজ্জা স্থানের হেফাজত কর, না হইলে আল্লাহ তায়ালা তমার ছুরাত পরিবর্তন করিয়া দিবেন।
(তেবরানী )

* রাসূলূল্লাহ (সাঃ) বলিয়াছেন প্রতিদিন ভোর বেলা দুই জন ফেরেস্তা চিৎকার করিয়স বলিতে থাকেন, পুরুষ নারীর জন্য , নারী পুরুষের জন্য বিপদ স্থল ও ভয়াবহ। (এবনেমাজা)

* একদিন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) মসজিদে উপস্থিত হইয়া অলঙ্কারে সজ্জিত এক রমনীকে
মসজিদে দেখিয়া বলিলেন, তোমরা আপন স্ত্রী কে সজ্জিত করিয়া মসজিদে আনিওনা,
কারণ বণি ইস্রাইলদের প্রতি এই কারনেই আল্লাহর অভিশাপ বর্ষিত হইয়া ছিল।
যে পর্যন্ত তাহারা আপন স্ত্রীকে সজ্জিত করিয়া মসজিদে আনে নাই সে পর্যন্ত তাহাদের প্রতি অভিশাপ বর্ষিত হয় নাই। (এবনে মাজা)

* রাসূলূল্লাহ (সাঃ) বলিয়াছেন , গায়েরে মোহরেম নারীর নিকট যাতাযাত বন্ধ কর।
এক ব্যাক্তি জিজ্ঞাসা করিল, হুজুর দেবরের সঙ্গে কি রূপ ব্যাবহার করা উচিৎ?"
রাসূলূল্লাহ (সাঃ) বলিলেনঃ দেবর মৃত্যুতুল্য অর্থাৎ দেবরের সঙ্গে অবাদে মেলামেশার চেয়ে মৃত্যু অনেক শ্রেয়। (বোখারী)

* তেবরানীর এক হাদিসে বর্ণিত আছে যে সুচ দ্বারা আপন মস্তিক অহরহঃ জখমী
করার চেয়ে একটি গায়ের মোহরেম নারীর শরীর স্পর্শ করা অধিক মারাত্মক।

* যে ব্যাক্তি আল্লাহ , রাসূল এবং কিয়ামতের উপর ঈমান আনিয়াছেন সে ব্যাক্তি
কখনও কোন অপরিচিতা নারীর সঙ্গে গোপনে একত্রিত হইতে পারে না।

* রাসূলূল্লাহ (সাঃ) বলিলেনঃ আমি আল্লাহ তায়াল কসম করিয়া বলিতেছি,
যখন কোন ব্যাক্তি গায়ের মোহরেম নারীর সঙ্গে একত্রিত হয় তখন শয়তান আসিয়া তাহাদের কাছে উপস্থিত হয়। (তেবরাণী)

আমি চেয়ে ছিলাম পর্দা না মানলে তার শাস্তি কি এ সম্পর্কে ভাল একটি পোস্ট উপহার দিবো।
কিন্তু পারেনি।
কারণ আমার কাছে যত গুলি সংগ্রহিত বই আছে তাদের ভিতরে এক টি বইতেও পেলাম না পর্দা বিষয়ে কঠোর আলোচনা করতে।
সব বই গুলি একই সুত্রে গাঁথা।
পরবর্তীতে আমি চেষ্টা করবো পর্দা সম্পর্কে আপনাদের ভাল কিছু উপহার দিতে।

ইসলামের দৃষ্টিতে অসামাজিক বা নিষিদ্ধ যৌনাচার(প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য) ইসলাম কখনো অসামাজিক বা নিষিদ্ধ যৌনাচার সমর্থন করেনা।
বরং ইসলামের কঠোর বিধান রয়েছে এই সবের বিরোধে।
প্রাকৃতিক যৌনচারের মূল কারণ পুরুষের কাছে স্ত্রীর এবং স্ত্রীর কাছে পুরুষের অভাব।
বেশী বয়স পর্যন্ত অবিবাহিত থাকা যুবক যুবতি
অথবা এমন বিপন্তীক পুরুষ বা বিধবা
স্ত্রী, যারা সমাজের ভয়ে অন্য কোন স্ত্রী বা পুরুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে
পারেন না,তারা অপ্রাকৃতিক মৈথুনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হন।
সামাজিক এবং আইনের দৃষ্টি কোন থেকে স্ত্রীর যোনি ছাড়া আর কোন জায়গায় মৈথুন
করাটা কে অনুচিত এবং অপরাধ বলে গণ্য করা হয়, এই রকম পশু এবং একই লিঙ্গের ব্যাক্তির সঙ্গে ও মৈথুন করা কে অপরাধ বলে মনে করা হয়।
প্রাচিন যুগেও অপ্রাকৃতিক মৈথুন যারা করতো,সেই সব পুরুষ এবং স্ত্রী কে দণ্ড দেবার ব্যবস্থা ছিল, অপ্রাকৃতিক মৈথুন সব চেয়ে বেশি প্রচলিত হচ্ছে হস্তমৈথুন,
পৃথিবীতে যত পুরুষ আছে তার মধ্যে ৬০ শতাংশে ও বেশি পুরুষ আছে এমন
যারা জীবনের কোন না কোন সময়ে হস্তমৈথুন নিশ্চয়ই করেছে। স্ত্রীদের মধ্যে হস্তমৈথুন অভ্যাস কম থাকে,কিন্তু ৫০ শতাংশ স্ত্রীদের মধ্যে হস্তমৈথুনের অভ্যাস
লক্ষ করা গেছে। সাধারণতঃ এই অভ্যাস কিশোরবস্থায় সৃষ্ট হয়। ছেলে মেয়েরা
কাম সুখের প্রথম অনুভব হস্তমৈথুনের মাধ্যমেই পায়। এরপর ধীরে ধীরে এই সুখ প্রাপ্ত করার জন্য ওরা নিয়মিত রূপে হস্তমৈথুনের করতে শুরু করে দেয়।
এমন দেখা গেছে যে , হস্তমৈথুনের কিশোর - কিশোরীরা ওদের বড়োদের কাছ থেকেই শিখে।
স্কুল - কলেজে বেশী বয়সের ছাত্র - ছাত্রীরা কম বয়সের ছাত্র হস্তমৈথুনের অভ্যস্ত।
মেয়েরা এর থেকে ও আগে এগিয়ে যায় এবং নিজের যোনিতে কোন লম্বা এবং
মোলায়েম জিনিষ ঢুকিয়ে কাম-সুখ পাবার চেষ্টা করে।
একাজের জন্য ওর মূলা, গাজর,বেগুন বা কলা ব্যাবহার করে।
এই সব জিনিষ খুব সহজেই হাতের কাছে পাওয়া যায় এবং এদের আকারও অনেকটা পুরুষদের লিঙ্গের মতই হয়।
কিছু কিছু পুরুষ স্ত্রীর অভাবে এবং কিছু - কিছু স্ত্রী পুরুষের অভাবে সমলৈঙ্গিক মৈথুনের করতে প্রথমে তো বাধ্য হয়,কিন্তু ধীরে ধীরে ওরা এই জাতীয় মৈথুনে
এতটা আনন্দ পেতে থাকে, যতটা আনন্দ বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গে পেত না।
প্রাচীন যুগে গ্রীসে এবং মিশরে সমলৈঙ্গিক মৈথুনকে অত্যন্ত সন্মানীয় দৃষ্টিতে দেখা হত। আরব ইত্যাদি দেশে তো আজও মৈথুনের খুব বেশী প্রচলন রয়েছে।
ইউরোপের কিছু দেশে তো স্ত্রী বেশ্যাদের মতই পুরুষ বেশ্যাদের ও দেখা মেলে।
এরা সমলৈঙ্গিক মৈথুন করে নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করে।
ভারতের কম বয়সের কিশোরদের সঙ্গে এবং হিজড়দের সঙ্গেও অনেক পুরুষ মৈথুন করে।সমলৈঙ্গিক মৈথুনে যেসব পুরুষেরা অত্যধিক কাম- সুখ পান,তারা নিজেদের
পত্নী এবং অন্যান্য স্ত্রীদের সঙ্গেও ঐভাবে মৈথুন করেলে গর্ভসঞ্চরারে ভয় থাকবেনা
এবং স্ত্রীদের কৌমার্যও অক্ষুন থাকবে। যদি কোন স্ত্রীর সঙ্গে কিছু দিন এই ভাবে
মৈথুন করা যায়, তা হলে সেই স্ত্রী নিজের যোনিতে পুরুষ লিঙ্গ প্রবেশ করিয়ে মৈথুন
করলে ততটা আনন্দ পাবেনা।

সমলৈঙ্গিক মৈথুন যারা করে, সেই সব স্ত্রী পুরুষ নিজের - সঙ্গী কে নিজের স্ত্রী বা স্বামী
হিসেবে মনে করে সেই ভাবে ওকে আলিঙ্গন বা চুম্বন করে, ঠিক যেভাবে ও নিজের
বাস্তবিক স্ত্রী বা স্বামীকে আলিঙ্গন করে চুম্বন করে। ওদের প্রণয় ক্রিয় স্বাভাবিক প্রণয়
প্রণয় ক্রিয়ার মতই হয়।
সেসব স্ত্রীর মধ্যে স্ত্রীদের প্রতি যৌন আকর্ষণ হয়, ওদের ব্যাবহার স্পষ্টরূপে পুরুষত্ব
উঁকি মারতে থাকে।
স্ত্রীদের মধ্যে সমলৈঙ্গিক মৈথুনের অভ্যস্তকে লেসবিয়নবাদ বলা হয়।
সমলৈঙ্গিক মৈথুন অভ্যস্ত স্ত্রীরা এক অপরের জননেন্দ্রিয়ে হাত দিয়ে রগাড়ায়,চুমু খায় , চাটে একে অপরের যৌনির মধ্যে আঙ্গুল ঢুকিয়ে ভগনাসাকে রগড়ে পরস্পর কে উত্তেজিত করে তোলে। এই সব স্ত্রীদের মধ্যে মুখ মৈথুন এর অভ্যস্ত লক্ষ করা যায়।

এই সব পাপাচার থেকে আল্লাহ আমাদের কে হেফাজত করুন।
আমিন।

বিয়ে পরবর্তী স্ত্রীর সাথে স্বামীর ব্যাবহার
বিয়ের পর স্বামী ও স্ত্রী উভয়েরই পরস্পরের প্রতি পরস্পরের অনেক দায়িত্ব
ও কর্তব্য রয়েছে।
এর সবটাই ইহ জীবনের ও পর জীবনের সুখ শান্তি অর্জনের লক্ষে শরীআত কতৃর্ক
নির্ধারিত সুন্দর ব্যবস্থা ।
প্রত্যেক বিবেকবান স্বামীকে খেয়াল রাখতে হবে যে দু জনের ৬০/৭০ বছরের এক সফর
শুরু হল।
শরীআতের মাসআলা এই যে পাঁচ জনে মিলে যদি এক ঘন্টার সফর করে,
তবে একজন কে আমির বানিয়ে নাও।

এখানে তো দীর্ঘ দিনের সফর,কাজেই একজনকে নেতৃত্ব দেয়া প্রয়োজন।
শরীআতে স্বামীকে আমীরের আসন দিতে বলা হয়েছে যে, তোমরা বিবি হল মামুর
এবং আমীর সম্পর্কে বলা হয়েছে সাইয়ি্যদুল কওমী খাদিমুহুম:যিনি আমীর হবেন
তিনি মানুষের খিদমত করবেন।
অর্থাৎ স্বামীকে কৃর্তত্ব দোয়ার দ্বারা নিরস্কুর আধিপত্য বিস্তারের কোনো সুযোগ দেওয়া
হয় না ।

বরং স্ত্রী সন্তান সন্ততি খিদমত ও সেবার পূর্ণ দায়িত্ব দেয়া হয় তার উপরে।
শরী আতের অন্য একটা দৃষ্টি ভঙ্গিতে বলা যায় যে, স্বামী হল আশীক আর স্ত্রী তার
মাহবুবা। দুনিয়ার নিয়ম তো এটায় যে আশিক তার মাশুক কে সর্বদা আরাম পৌছানোর
চেষ্টা করবে।
কাজেই স্বামী তার স্ত্রী কে সাধ্যমত আরাম পৌছানোর চেষ্টা করবে।

আল্লাহ্‌ পাক স্বামীকে উদ্দেশ্য করে আদেশ দিচ্ছেন যে দেখো আমার এই বান্দীকে
আমি সৃষ্টি করেছি। অতঃপর আমি নিজের হাতে একে তোমার জন্য নির্ধারিত করেছি।

কাজেই তুমি একে আমার দেয়া নেয়ামত মনে করে এর সাথে কোমল ব্যাবহার করো।
এর দোষ ক্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখ।
কোরআন কারীমে বলা হয়েছেঃ তোমরা বিবিদের সাথে উত্তম ব্যাবহার করো।
একটা উদাহরন দিলে বিষয় টা পরিস্কার হবে।

এক লোকের কাছে পুলিশ সুপার ফোন করে বলেছে যে ভাই শুনলাম আমার মেয়ের
বান্ধবী কে নাকি তুমি বিয়ে করেছ।
ওদের দুই বান্ধবীর মধ্যে অসাধারন মুহাব্বত।
সুতরাং তুমি তোমার বিবির দিকে বিশেষ ভাবে খেয়াল রেখো, যাতে কোন অসুবিধা
না হয়।
এই ফোন পাওয়ার পর সে লোক সর্তক হয়ে যাবে।
পূর্বের চেয়ে এখন আরো বেশি ভালো ব্যাবহার করবে এবং স্ত্রীর সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে
উদ্যাগী হবে।
সামান্য তম জুলুম অত্যাচারের কল্পনাও তার দিলে আসবেনা।
সামান্য একজন পুলিশের কথাতে যদি এমন নিষ্ঠা বান হয়ে যাই ,
তা হলে মহা প্রতাপ শালী মহান আল্লাহর নির্দেশে আমাদের করনীয় , তা সহজেই
অনুমেয়।

আকাবিরে দেওবন্দের একজন মুরুব্বীর কাছে এক লোক ,অভিযোগ করল যে,
আমার স্ত্রী আমাকে খুব পেরেশান করেছে, এখন আমি তাকে তালাক দিতে চাই।
উত্তরে তিনি বললেন, দেখো, সে যদি তোমাকে কষ্ট দেয় টা হলে শোনঃ
এই মহিলারা অনেক লোক কে আল্লাহর অলি বানিয়ে দিয়েছে।
যদি তুমি আল্লাহর অল হতে চাও, তো সবর কর, আর যদি না চাও তা হলে
তালাক দিয়ে দাও।

হরযত মির্জা জানেজানী (রহঃ) বড় উচ্চ স্তরের বুজুর্গ ছিলেন।
একদিন তাকে স্বপ্নে বলা হল যে, দিল্লীর অমুক বস্তিতে খুব দ্বীনদার এক মহিলা আছে,
কিন্তু সে খুব বদ মেজাজী।
তুমি যদি তাকে বিয়ে করে বদ মেজাজীর উপর সবর করতে পারো,
তা হলে আমি তোমাকে আমার অলি বানিয়ে নিব।
সুতরাং পর দিন তিনি ঐ মেয়েকে বিয়ে করে আনলেন এবং তিনি তার শিষ্যদের কে বলতেন যে ,
দেখো,আল্লাহ্‌ তাআলা যে সারা বিশ্বে মির্জার ঢংকা বাজিয়ে দিয়েছেনঃতা এই
মুজাহাদার কারণেই।

শাইখ আবুল হাসান খোরসানীও অনেক বড় আল্লাহর অলি ছিলেন।
একদিন এক লোক দেখল যে, তিনি একটা সাপ দিয়ে লাকড়ির বোঝা বেঁধে তা
কাঁধে করে বাঘের পিঠে সওয়ার হয়ে আসছেন।
লোক টি অবাক হয়ে এর মর্ম জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন যে, এটা তার বদ মেজাজী
স্ত্রীর সাথে উত্তম ব্যাবহার এর পুরুস্কার।
স্ত্রীর প্রতি উত্তম ব্যাবহারের জন্য শরীআতে এভাবে স্বামীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ঠিক তদ্রপ স্ত্রীকে ও নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে সে যেন স্বামীকে পেরেশান না করে
তার সামর্থের বাইরে তার দরাসূলুল্লাহ -দাওয়া করে হয়রান না করে।
বরং সে তার স্বামীর আরামের দিকে সর্বদা লক্ষ্য রাখবে।
যে স্ত্রীর উপর তার স্বামী অসন্তুষ্ট থাকে,তার ইবাদত কবুল হয় না এবং ফেরেস্তারা তার
উপর স্বামীকে সন্তুষ্ট না করা পর্যন্ত লানত করতে থাকে।
স্বামীর গুরুত্ব বুঝাতে গিয়ে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেন যে , আমার শরীয়াতে যদি
আল্লাহ্‌ ব্যতিত অন্য কাউকে সিজদা করার অনুমতি থাকতো,
তা হলে মহিলাদের কে তাদের স্বামীকে সিজদা করার নির্দেশ দেয়া হতো।

নারীদের জন্য জান্নাতে যাওয়া পুরুষদের তুলনায় সহজ।
কোন মহিলা যদি নিন্মোক্ত ৪ টি কাজ ঠিক কত করে, তা হলে আখিরাতে তাকে
জান্নাতের যে কোন দরজা দিয়ে প্রবেশ করার অনুমতি দেয়া হবে।

(১) পাঁচ ওয়াক্ত নামায সঠিক ভাবে আদায় করবে।
(২)রমজানে রোযা রাখবে।
(৩)স্বামীকে শরীয়াতের গণ্ডির মধ্যে থেকে খুশী রাখবে।
(৪) পর্দার সাথে থেকে নিজের ইজ্জত আব্রুর হিফাযত করবে।
এ ৪ টি কোন টি ই অসম্ভব বা কঠিন কাজ নয়।
কাজেই প্রত্যেক নারীর উচিৎ নিজ নিজ অবস্থান জান্নাত নিশ্চিত করা।

সামি-স্ত্রীর দায়িত্ব কর্তব্য ও মধুর মিলন বই থেকে নেওয়া।
মাঃ জাকির হোসাইন আজাদী।

দাম্পত্য সম্পর্কের ৫০ টি বিষয় যা আপনার জেনে রাখা প্রয়োজন
১. সুন্দর সম্পর্ক নিজে থেকেই তৈরি হয় না, সেটি তৈরি করতে হয়। তাই আপনাকেও সেটি তৈরি করতে হবে।
২. কর্মক্ষেত্রেই যদি আপনার সবটুকু কর্মক্ষমতা নিঃশেষ করে ফেলেন, তাহলে আপনার দাম্পত্য জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
৩. আপনার উৎফুল্ল আচরণ হতে পারে আপনার জীবনসঙ্গী/জীবনসঙ্গিনীর জন্য খুব দামি একটি উপহার।
৪. কাউকে একইসাথে ভালোবাসা এবং ঘৃণা করা আপনার জন্য অসম্ভব নয়।
৫. আপনার জীবনসঙ্গী/জীবনসঙ্গিনীর ব্যাপারে বন্ধুদের কাছে অভিযোগ করা থেকে বিরত থাকুন। মনে রাখবেন বন্ধুদের প্রতিক্রিয়া আপনার দাম্পত্য সম্পর্কে বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
৬. দাম্পত্য জীবনে তা-ই নিয়ম যা দুইজনের পছন্দের ভিত্তিতে ঘটে।
৭. সাময়িক ঝগড়া বিবাদের কারণে দাম্পত্য সম্পর্ক পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায় না। মনের মধ্যে জমে থাকা চাপা ক্ষোভ আর যন্ত্রণাই দাম্পত্য জীবনকে তিলে তিলে ধ্বংস করে দেয়।
৮. দাম্পত্য সম্পর্ক, “কী পেলাম?” –এর হিসেবে মেলানোর জন্য নয়। বরং সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে “কী দিতে পেরেছি,” তা-ই দাম্পত্য সম্পর্কের মূলকথা।
৯. “জীবনসঙ্গী/জীবনসঙ্গিনী হিসেবে আমি সর্বোত্তম”-এমনটি মনে হওয়া অতি আত্মবিশ্বাসের লক্ষণ। এমনটি মনে হলে নিজেকে যাচাই করুন।
১০. সংসারের ক্রমাগত আর্থিক সচ্ছলতা অর্থ এই নয় যে, দাম্পত্য জীবনও সুখের মধ্য দিয়ে কাটছে।
১১. যদি বিশ্বাস ভেঙ্গে গিয়ে থাকে, তাহলে সেই বিশ্বাস জোড়া দেওয়ার সময় এখনও পার হয়ে যায়নি। এজন্য যেকোনো সময়ই উপযুক্ত সময়।
১২. অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যা নিয়ে তর্ক হয় তা আসল বিষয় থাকে না।
১৩. ভালোবাসা কেবল অনুভুতি নয়; বরং আমাদের কাজের মাধ্যমেই ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটে।
১৪. বেশি পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা মনের হতাশা ও অতৃপ্তিকে বাড়িয়ে দেয়।
১৫. দাম্পত্য জীবনের অনেক তর্কই হয়ত এড়িয়ে যাওয়া যায় না। তবে ক্ষতিকর বিতর্ককে এড়িয়ে যেতেই হবে।
১৬. জীবনসঙ্গী/জীবনসঙ্গিনীর প্রতি আপনার গভীর মনোযোগ পরস্পরের জন্য হতে পারে অমূল্য উপহার।
১৭. অনেক সময় সুখী দম্পতিরাও ভাবেন যে, তারা ভুল মানুষটিকে বিয়ে করেছেন।
১৮. আপনার জীবনসঙ্গী/জীবনসঙ্গিনী আপনাকে সুখী করার শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে না পারলেও তিনি আপনার সুখী হওয়ার ব্যাপারে অবশ্যই সাহায্য করতে পারেন।
১৯. মিথ্যা বলে হয়ত সামান্য কিছু সুবিধা পান। কিন্তু পরিমাণে মিথ্যা বলার জন্য সুবিধার চেয়ে অনেক বেশি চড়া মূল্য দিতে হয়। অতএব, মিথ্যা বলা বর্জন করুন।
২০. আপনার মতামত যে সবসময় সঠিক, এমনটি ভাববেন না।
২১. বছরের পর বছর ধরে যে বিশ্বাস আপনি গড়ে তুলেছেন, তা এক মুহূর্তে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
২২. সঙ্গী বা সঙ্গিনীর অপরাধবোধকে দীর্ঘায়িত করে তার অনুভূতি নিয়ে খেলা করে আপনি যা পেতে চান, তা কখনোই পাবেন না।
২৩. আপনার বন্ধুদেরকে অবহেলা করবেন না।
২৪. আপনার যদি মনে হয়, ‘তুমিই আমার জন্য সঠিক মানুষটি, যাকে আমি বিয়ে করেছি’, তাহলে আপনি ঠিক পথেই আছেন।
২৫. কোনোকিছু প্রমাণ করতে যাওয়ার প্রলোভনকে দমন করতে পারলে, বস্তুত আপনি অনেক কিছুই প্রমাণ করতে পারলেন।
২৬. আত্মিক উদারতা একটি সুখী দাম্পত্য জীবনের প্রধান ভিত্তি।
২৭. সঙ্গী বা সঙ্গিনী যদি কোনো রক্ষণাত্মক আচরণ করে, তাহলে তার রক্ষণাত্মক হওয়ার পক্ষে আপনিও কিছু কারন দেখাতে পারেন।
২৮. বিয়ে কোন ৫০/৫০ সম্ভাবনা না; বরং এটি হলো ১০০/১০০।
২৯. দাম্পত্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে আপনি কোনোকিছু এখনও পরিশোধ করতে পারেন আবার পরেও পারেন। তবে যতদেরিতে তা করবেন, ততবেশি জরিমানা আপনাকে দিতে হতে পারে।
৩০. সুন্দর বৈবাহিক সম্পর্কের জন্য ত্যাগ স্বীকার করা প্রয়োজন। এমনটি করতে পারলে, আপনি আপনার ত্যাগের চেয়ে ভোগই বেশি করতে পারবেন।
৩১. ক্ষমা কোন সাময়িক গুণ নয়; বরং ক্ষমা একটি চলমান প্রক্রিয়ার নাম।
৩২. দাম্পত্য জীবনের কঠিন সময়গুলো আপনাকে একজন ভালো মানুষ করে তুলবে।
৩৩. বিয়ে অনেকটা রকেট উৎক্ষেপণের মতো। যখন তাতে মাধ্যাকর্ষণ টান পূর্ণ থাকে, তখন ফ্লাইট চলতে খুব সামান্য জ্বালানীর প্রয়োজন হয়।
৩৪. দাম্পত্য জীবনে সাফল্য পেতে হলে, অতীতে কী হয়েছে তা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে, ভবিষ্যতের করণীয় নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে।
৩৫. আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। কৃতজ্ঞতা বোধকে নিজের ভেতর চেপে রাখবেন না।
৩৬. বাস্তবতার খাতিরে মাঝে মাঝে নীরবতা পালন করা একটি অসাধারন উপায়।
৩৭. আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনীর কাছে আপনার সর্বোত্তম প্রশ্নগুলোর একটি হতে পারে, “আমি কীভাবে তোমাকে আরও বেশি ভালোবাসতে পারি?”
৩৮. চাইলেই দাম্পত্য জীবনকে চিরসবুজ করে রাখা যায়।
৩৯. যৌক্তিক অনুমানের ভিত্তিতে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। তবে পদক্ষেপ নেওয়ার পূর্বে অনুমানকে যাচাই করে নেওয়াই আবশ্যক।
৪০. মনের ইচ্ছা বা উদ্দেশ্যই সবকিছু নয়, কিন্তু তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর একটি।
৪১. সার্থক যৌন সম্পর্ক সার্থক দাম্পত্য সম্পর্কের নিশ্চয়তা দেয় না। তবে তা সার্থক দাম্পত্য সম্পর্ক নির্মাণে সহায়তা করে।
৪২. ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা করলে তা দাম্পত্য সম্পর্কের ক্ষতি করবে না। তবে সন্দেহজনক বিষয় নিয়ে লুকোচুরি করলে তা দাম্পত্য সম্পর্কের ক্ষতি করবে।
৪৩. সঙ্গী/সঙ্গিনীকে আঁকড়ে ধরে রাখার প্রবণতা এবং ঈর্ষাপরায়ণতার জন্ম হয় ভয় থেকে, ভালোবাসা থেকে নয়।
৪৪. বিশ্বাসযোগ্যতা বিশ্বাসযোগ্যতার জন্ম দেয় এবং বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখার অভ্যাস গড়ে তোলে।
৪৫. আপনার স্বামী বা স্ত্রী যদি কোনোকিছুকে গুরুত্বপূর্ণ ভাবে, তাহলে তা আপানর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
৪৬. দাম্পত্য সম্পর্কে প্রেমাবেগের প্রয়োজন কখনোই ফুরিয়ে যায় না।
৪৭. নতুন সম্পর্কের ঔজ্জ্বল্য সবসময়ই ক্ষণস্থায়ী হয়ে থাকে।
৪৮. নীরবতাও আক্রমণাত্মক হতে পারে যখন তা অস্ত্র হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
৪৯. অধিক উত্তম হলো নিজে কীভাবে সঠিক কাজটি করতে পারেন সেদিনে মনোযোগ দেওয়া। তারপর আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনী কী ভুল করেছে সেদিকে মনোযোগ দেওয়া।
৫০. দাম্পত্য সম্পর্ককে মানিয়ে নেওয়া একেবারেই অসম্ভব মনে হলে, কেবল তখনই বিচ্ছেদের দিকে পা বাড়াতে পারেন।

সেক্স এডুকেশনঃ নিষিদ্ধ কিছু নয়

সংকলনঃ এম হাসান
আধো বোল ছেড়ে কথা বলতে শুরু করতে না করতেই আপনার বাচ্চা দুম করে জানতে চাইতে পারে, ‘মা, আমি কিভাবে হলাম?’ কি উত্তর দেবেন আপনি? হয়তো আপনার বাচ্চা বড় হয়ে পা দিয়েছে বয়ঃসন্ধিতে। ওকে খুব অচেনা লাগছে আজকাল। এড়িয়ে চলছে আপনাকে। অবাক হচ্ছেন বা রেগে যাচ্ছেন ওর কিছু অভ্যাসে, আচরণে। অথচ আপনার হাত-পা বাঁধা। কিছুই করার নেই আপনার? হয়তো ক্লাস নাইনের মেয়ে জানতে চাইছে একান্তে, ‘ঋতুচক্রের ব্যাপারটা আসলে কি?

আধো বোল ছেড়ে কথা বলতে শুরু করতে না করতেই আপনার বাচ্চা দুম করে জানতে চাইতে পারে, ‘মা, আমি কিভাবে হলাম?’ কি উত্তর দেবেন আপনি? হয়তো আপনার বাচ্চা বড় হয়ে পা দিয়েছে বয়ঃসন্ধিতে। ওকে খুব অচেনা লাগছে আজকাল। এড়িয়ে চলছে আপনাকে। অবাক হচ্ছেন বা রেগে যাচ্ছেন ওর কিছু অভ্যাসে, আচরণে। অথচ আপনার হাত-পা বাঁধা। কিছুই করার নেই আপনার? হয়তো ক্লাস নাইনের মেয়ে জানতে চাইছে একান্তে, ‘ঋতুচক্রের ব্যাপারটা আসলে কি? কেন এমন হয়?’ কি বলবেন? হয়তো মানসিকভাবে ম্যাচিওরড হওয়ার আগেই শরীরে খুব বাড়ছে আপনার মেয়ে। খুব ভয় করছে আপনার। কখন কি বিপদ ঘটে যায়! চুপ করে থাকবেন? নাকি কিভাবে ব্যাপারটা বলা যায় ওকে ভাবতে ভাবেতই কাটিয়ে দেবেন সময়? বিয়ে ঠিক হয়েছে মেয়ের। বিয়ের ঠিক আগে ও জানতে চাইছে ‘সেফ পিরিয়ড’ কোনটা? এড়িয়ে যাবেন? লজ্জা পেয়ে সরে যাবেন? নাকি নিজেকে দুষবেন নিজেই ব্যাপারটা জানেন না বলে?
না, আপনাকে অস্বস্তিতে ফেলতে চাইছি না। শুধু জীবনের একান্ত জরুরি এক বিশেষ শিক্ষা সম্পর্কে আপনাকে সচেতন করে তোলার উদ্দেশ্য নিয়ে এই নিবন্ধ। জরুরি ব্যাপার হল ‘সেক্স এডুকেশন’। বাংলায় বিজ্ঞানসমমত যৌনশিক্ষা। এই শিক্ষার সবচেয়ে সুন্দর আর আদর্শ নাম হতে পারে ‘ফ্যামিলি লাইফ এডুকেশন’। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই নামটাই চলে। বাংলায় বলা যায় ‘পারিবারিক জীবনের শিক্ষা’।
কি ভাবছেন? এ সব আবার কেন? ভয় পাবেন না, বাজারি সেক্স ম্যানুয়াল পড়তে বলা হচ্ছে না আপনাকে। শুধুমাত্র জেনে বুঝে নিতে বলা হচ্ছে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যৌনতার বিজ্ঞান আর মনস্তত্ত্বকে। জেনে বুঝে নিতে ব্যাঙের প্রজননতন্ততেই পাঠ শেষ করার দিন শেষ। জানতে হবে মানবপ্রজননের বিজ্ঞানকে, এর মল সত্রগুলোকে। জেনে বুঝে নিতে হবে যৌবনের শুরু আর শেষ, এই দুই প্রান্তিক সময়কালের পরিবর্তন আর সমস্যাগুলোকে। জন্মনিয়ন্ত্রণ আর যৌনরোগ-এই দুটো বিষয়েও তুচ্ছ, বাস্তবসমমত ধারণা তৈরি করে নেয়া দরকার সবার জন্য।
করতেই হবে, বিকল্প নেই। যৌনতাকে নিয়ে আজও আমাদের সমাজে যে ব্যাপক শুচিবাতিকগ্রস্ততা, তা আসলে ভাবের ঘরে চুরি, এক ধরনের চরম ভন্ডামি। জীবনের জরুরি একটা অঙ্গকে ‘নিষিদ্ধ আপেল’ বানিয়ে রেখে যতই বালিতে মুখ গুঁজে থাকি আমরা, আজকের সময় তার নিজের মতো কবে উশুল করে নিচ্ছে এই না-জানা না-বোঝার দাম, সুদেমলে। প্রাক বৈবাহিক যৌন সংসর্গের ঘটনা ক্রমাগত বাড়ছে, বাড়ছে অবৈধ গর্ভনাশ আর তার নানা জটিলতার ঘটনা। সিফিলিস, গনোরিয়ার পাশাপাশি যৌনরোগ এইডস ঢুকে পড়েছে আপনার-আমার দেহেও। চারপাশে যৌন অপরাধ বাড়ছে ক্রমাগত, লাফ দিয়ে দিয়ে বাড়ছে যৌন হয়রানি বা ‘সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট’-এর ঘটনা। এমন একটা বিপন্ন সময়ে ‘সেক্স এডুকেশন’-এর কোনো বিকল্প নেই। আশার কথা, অনেক দেরিতে হলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ মেনে মানবপ্রজনন আর এ সংক্রান্ত শিক্ষা এখন গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠছে আমাদের দেশেও।
বাচ্চার প্রশ্নের ঠিক ঠিক উত্তর দিতে শিখুন
মাঝে-মধ্যে বাচ্চারা জন্মরহস্য নিয়ে নানা প্রশ্ন করবেই। ওদের চুপ করিয়ে দেবেন না বা অন্য কথায় ভোলাতে যাবেন না। এরকম প্রশ্নের উত্তর হবে বিজ্ঞানসম্মত অথচ বাস্তবমুখী। ঘাবড়ে যাবেন না, ফিসফিস করে বলবেন না, ছেলেমেয়ের এরকম প্রশ্নের উত্তর দিন সহজ-সরলভাভাবে, গল্পচ্ছলে। বাচ্চা যেন না ভাবে ব্যাপারটায় আপনি অতিরিক্ত গুরুত্ব দিচ্ছেন বা কিছু লুকোচ্ছেন।
‘আগে বড় হও, পরে সব জানতে পারবে’ বা ‘এ সব জানার জন্য তুমি এখনও খুব ছোট’-এরকম দায়সারা উত্তর বাচ্চার পক্ষে ক্ষতিকর। উত্তরটা কিভাবে দেবেন জানা না থাকলে বাচ্চাকে বলুন, ’বা! বেশ ভালো প্রশ্ন করেছ তুমি। এর উত্তরটা সহজে তোমাকে কিভাবে বোঝানো যাবে তা নিয়ে আমাকে একটু ভাবতে সময় দাও।’ বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জেনে পরে বাচ্চাকে সহজ করে বুঝিয়ে দিন।
‘না’ দিয়ে বলবেন না
নর-নারীর সম্পর্ক বা জন্মরহস্য নিয়ে বাচ্চার প্রশ্নের মুখোমুখি আপনার উত্তর হবে আবশ্যিকভাবে সদর্থক। বাচ্চা অশ্লীল কথা বললে ‘এরকম কথা আর ভুলেও বলবে না’ বলে বাচ্চাকে বকলে ব্যাপারটাকে নিষিদ্ধ ভেবে এর প্রতি ওর আকর্ষণ আরও বাড়বে।
যৌনশিক্ষার বিজ্ঞান বলে, বাচ্চাকে নরম করে বলুন, ‘এরকম কথা বললে আমি খুব কষ্ট পাই। আমি কষ্ট পাই তা কি তুমি চাও? এই কথাগুলো বলতে পারেন নিজের মতো করেও।
বাচ্চাদের প্রশ্নের দুটি আদর্শ উত্তর হতে পারে এরকম-
মা আমি কি করে হলাম? তুমি হয়েছ আমার আর তোমার বাবার ভালোবাসা থেকে। আমরা দু’জনে ভালোবেসে তোমায় চাইলাম, তাই তো তুমি হলে সোনা!
মায়ের পেট থেকে বাচ্চা কিভাবে বেরোয়? মায়ের পেটের ভেতর একটা থলির মধ্যে বাচ্চা আস্তে আস্তে বড় হয়। তারপর অনেকটা বড় হয়ে জন্মের একটা রাস্তা আছে, সেই রাস্তা দিয়ে বাচ্চা মায়ের শরীর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসে। ঠিক যেভাবে স্কুল ছুটি হয়ে তুমি ক্লাসের দরজা দিয়ে বেরিয়ে আস।
বাচ্চার ব্যাপারে যা করবেন না * টিভি বা ভিডিওর মারদাঙ্গা, ধর্ষণের চেষ্টা বা শারীরিক ঘনিষ্ঠতার ছবি বাচ্চাকে গিলতে দেবেন না। আপনি সচেতন হলেই পারবেন। যৌন রসিকতা বা গল্প বাচ্চার সামনে ভুলেও নয়। * একটু বড় বাচ্চার সামনে বা বাচ্চাকে কাছাকাছি রেখে শরীরী ঘনিষ্ঠতার দিকে এগোবেন না। * সম্ভব হলে সাত-আট বছরের পর থেকে বাচ্চাকে বাবা-মায়ের সঙ্গে এক বিছানায় শোয়াবেন না। সুন্দর বিকল্প হল, দাদা বা দাদীর সঙ্গে বা আলাদা বিছানায় বাচ্চাকে ঘুমাতে অভ্যস্ত করে তোলা। * যৌনাঙ্গ নিয়ে খেলা করছে বাচ্চা, নজরে এল আপনার। ভুলেও বাচ্চাকে বকবেন না বা মারধর করতে যাবেন না। ওকে বুঝিয়ে বলুন নরম করে। বলুন, ‘এই নরম জায়গা নিয়ে খেলা করলে যে তুমি ব্যথা পাবে, কষ্ট পাবে। আর তুমি কষ্ট পেলে সব চাইতে বেশি কষ্ট পাব আমি!। * যৌনতা বিষয়ক বাচ্চার কোনো আকস্মিক প্রশ্ন চেপে দিতে যাবেন না। গল্পচ্ছলে উত্তর দিন। না জানলে জেনে নিয়ে পরে বলুন। * ছেলে বা মেয়েকে কম বয়স থেকে বিকৃতকাম পরিণত বয়স্ক পুরুষ বা নারীর যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে পড়ার ব্যাপারে সাবধান হতে/সাবধান করতে ভুলবেন না। এরকম দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার শিকার হয়ে অনেক ছেলে মেয়ে ভবিষ্যত জীবনে নানা মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়। সচেতন হন, সতর্ক থাকুন।
টিনএজের ছেলেমেয়ের বাবা-মায়েরা শিখুন
বয়ঃসন্ধি সব ছেলে মেয়ের জীবনেই এক ধরনের পরীক্ষা। শরীর-মনে দ্রুতলয়ে ঘটতে থাকা পরিবর্তনগুলোর সঙ্গে মানিয়ে উঠতে না পেরে এই সময় ছেলে মেয়েরা শরীর মনে নানা সমস্যার মুখোমুখি হয়। ওদের এই বিশেষ সমস্যাগুলোকে জেনে বুঝে নিন, সমস্যা কাটিয়ে উঠতে ওদের পাশে থাকুন বন্ধুর মতো। ওদের মনের দ্বিধাদ্বন্দ্বগুলোকে এড়িয়ে যাবেন না, সহানুভূতির সঙ্গে ওদের সমস্যাগুলো বুঝুন। ওদের সঙ্গে আলোচনা করুন খোলাখুলি, বন্ধুর ভূমিকা নিন। ছেলেদের সমস্যায় বাবা আর মেয়েদের সমস্যায় মা হতে পারেন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুশকিল আসান। * বয়ঃসন্ধির সমস্যা আর মনস্তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা করুন, বইপত্র পড়ূন সুস্থ স্বাভাবিক জীবনবোধের আলোয় ছেলে মেয়ের মধ্যে সুস্থ যৌনচেতনা গড়ে তুলতে আপনি করতে পারেন অনেকটাই। * প্রজন্মবাহিত ভুল ধারণা, সংস্কার আর অন্ধকার ভুলেও ছেলে মেয়ের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে ওদের সর্বনাশ করবেন না। যৌনতা ‘নোংরা, ’নিষিদ্ধ’ বা ‘খারাপ’ কোনো ব্যাপার নয়, এ হল জীবনের স্বাভাবিক এক অঙ্গ। নিজের ভুল আগে শুধরে নিন, তারপর ছেলেমেয়েদের শেখান। ‘ছেলেদের সঙ্গে মেয়েদের বন্ধুর মতো মেশা খারাপ’ নয়, এরকম সুস্থ সম্পর্ক যৌবনের সমস্যা কমায়। পিরিয়ডের রক্ত ‘বদরক্ত’ নয়, এতে ‘পাপ’ ধুয়ে বেরিয়ে আসে না। এ হল যৌবনের স্বাভাবিক এক শারীরবৃত্তীয় ঘটনা।
যৌবনের পরিবর্তনগুলোর বিজ্ঞানকে জেনে বুঝে নিন। ছেলে মেয়েদের বোঝান। * কথায় কথায় তর্ক করা বা বড়দের অগ্রাহ্য করার প্রবণতা এ বয়সে থাকবেই। উত্তেজিত হবেন না, ছেলে মেয়েকে মারধর করতে যাবেন না। শাসনের আতিশয্যে সমস্যাকে জটিল না করে ওদের ভালটা ওদের বুঝিযে বলুন। সুস্থ বিতর্কে অংশ নিন। * এই বয়সে ছেলে মেয়ের ওপর সতর্ক নজর অবশ্যই রাখবেন। তবে সব ব্যাপারে নাক গলাতে যাবেন না। ওদের স্বাধীনতার বোধকে সমমান করতে শিখুন। এতে আপনাদের দূরত্ব কমবে। * সব সময় ‘ওটা ভালো না’, ‘এটা কর না’ করতে যাবেন না। যা বলার ভালো করে, যুক্তি দিয়ে, ভালোবেসে বুঝিয়ে বলুন। * ওদের নিজস্ব জগতে ঢুকতে চাইবেন না। ওদের কল্পনার জগতটাকে ভেঙে দেবেন না। ওদের জগতটাকে আপনি আপনার ছাঁচে গড়তে চাইলে ওদের ভবিষ্যত ক্ষতিগ্রস্ত হবেই। * ১৫-১৬ বছরে মা মেয়েকে বুঝিযে দিন। যৌনতার বাস্তবতা, শরীর-মনের সম্পর্ক, ঋতুচক্রের বিজ্ঞান, অতি যৌনতার বিপদ, ব্যক্তিগত সতর্কতা। * এই বয়সে বাবা ছেলেকে বুঝিয়ে বলুন- যৌনতার বাস্তবতা, অতি যৌনতার বিপদ, পর্ণো-গ্রাফিক ফাঁদ, অতিরঞ্জন আর অসারতা, যৌনরোগের বিস্তার আর বিপদ। * আর একটু বড় হলে ১৭-১৮ বছরে ওদের বুঝিয়ে বলুন- জন্মরোধের ব্যবস্থাগুলো সম্পর্কে, প্র্যাক বিবাহ মেলামেশার বিপদ নিয়ে, অবাধ যৌনতার সর্বনাশ আর মারাত্মক যৌনরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ার বিপদ সম্পর্কে। আগে নিজে জানুন, তারপর ওদের জানান। ছেলেদের সতর্ক করুন নেশা বা মাদকাসক্তির বিপদ সম্পর্কে। * ছেলে বা মেয়েকে বৈজ্ঞানিক যৌনশিক্ষা পেতে সাহায্য করুন। এ ব্যাপারে বইপত্র নির্বাচনে ওদের সাহায্য করুন, ‘স্বঘোষিত বিশেষজ্ঞ’-দের থেকে সাবধান করুন। * ছেলে বা মেয়েকে স্বমেহন (Masturbation)-এ রত বা পর্ণোগ্রাফির বইপত্র পড়তে দেখে ফেললে তখনকার মতো সরে যান। তখনই বকাবকি বা শাসন করতে যাবেন না। পরে সময় করে ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা করুন ছেলেমেয়েদের সঙ্গে। যুক্তি দিয়ে, বিজ্ঞানের আলোয়। আদেশ বা নির্দেশ নয়, ভালোবাসা দিয়ে।
বয়ঃসন্দির ছেলেমেয়ের বাবা-মায়েরা জানুন * আপনাকে দেখেই আপনার ছেলে মেয়ে শিখবে। আপনার আচার আচরণে সংযত থাকুন। * ওদের সঙ্গে বসে টিভিতে সেক্স ভায়োলেন্সে ঠাসা বই দেখবেন না। * স্বমেহজন যৌবনের স্বাভাবিক এক অভ্যাস। এতে শরীর দুর্বল হবার, স্মৃতিশক্তি কমে যাবার বা ভবিষ্যত যৌন জীবন বিপন্ন হবার আশঙ্কা অপপ্রচার মাত্র। পরিণত স্বমেহন স্বাভাবিক, ব্যাপারটাকে বাতিক (obsession) বানিয়ে ফেললে তা অবশ্যই অস্বাভাবিক। * ঋতুচক্র, উর্বর সময়কাল (Unsafe Period), অনুর্বর সময়কাল(Safe Period) সম্পর্কে জানুন। ১৮ বছর নাগাদ ছেলে মেয়েকে এই ব্যাপারগুলো জানতে-বুঝতে সাহায্য করুন। * অবাধ যৌন সংসর্গের বিপদ নিয়ে চুপ করে থাকবেন না। ছেলে মেয়েকে এই বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করুন। * মুহর্তের আবেগে শরীরী রোমাঞ্চর আবেশে যৌন সংসর্গের লিপ্ত হয়ে সারা জীবন অনুতাপ করতে হয় অনেককেই। ওদের বুঝিয়ে বলুন। * কারও প্ররোচনায় বা ভুলে যৌনকর্মীদের কাছে গিয়ে কেউ কেউ এ বয়সে নানা যৌনরোগ বা মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়। সতর্ক থাকুন ওদের সব বুঝিয়ে সতর্ক থাকতে বলুন।
বিবাহিত জীবনের যৌনশিক্ষা
‘সামাজিক ও মানসিক দিক দিয়ে বিয়ে যে কোনো মানুষের জীবনে নতুন একটা মাত্রা, যা ভালোবাসার খুব কাছাকাছি’। যৌন সম্পর্ক দাম্পত্যের গুরুত্বপূর্ণ একটা ভিত্তি, যৌন সম্পর্ক আর দাম্পত্য তবু সমার্থক নয়। কমবয়স থেকে যৌনশিক্ষার অভাবে নববিবাহিত দম্পতি বেশিরভাগ সময় একে অন্যকে না বুঝেই যৌন সম্পর্ক শুরু করেন। লজ্জা আর অস্বস্তি দিয়ে শুরু হয় দাম্পত্যের ভিত গড়া।
এ দেশে যুগযুগ ধরে মেয়েদের শেখানো হয়েছে, পুরুষের যৌন আকাঙ্ক্ষায় সাড়া দেয়াই নারীর এক মাত্র কাজ। বিজ্ঞান বলে পুরুষের মতো নারীরও রয়েছে স্বাভাবিক যৌন চাহিদা। যৌনতার আনন্দ দাম্পত্যের আনন্দের একটা অংশ। যৌনতার আনন্দ উপভোগ করতে না পারা অনেকটা ভালো খাবার আনন্দ করে খেতে না পারার মতো ব্যাপার।
বিবাহিত জীবনের একেবারে শুরুতে আস্তে আস্তে পারসপরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে সুস্থ শরীরী সম্পর্ক গড়ে উঠতে শুরু করে। শরীর- মনের এই বোঝাপড়া তৈরি না হলে সুস্থ শরীরী সম্পর্ক গড়ে না ওঠার বিবাহিত নারী-পুরুষ সুখের বৃত্তে ঢুকতে বাধা পান। এর জন্য দায়ী শরীর-মনের পারসপরিক সম্পর্ক নিয়ে ধারণার অভাব, ন্যনতম যৌনবিজ্ঞানের অভাব আর এ নিয়ে নানা ধরনের সংস্কার।
দম্পতিতে দম্পতিতে যৌন চেতনায় বা যৌনরোধ তারতম্য থাকবেই। কোনো দম্পতির বেলায় শরীরী ভালোবাসা হয় তো তেমন গুরুত্বপূর্ণ কোনো ব্যাপার নয়। আবার এমন দম্পতিও রয়েছেন যাদের ভালোবাসার মল কথাই হল শরীর। বিবাহিত জীবনে দু’জনের বোঝাপড়া গড়ে উঠতে সময় লাগে। এই বোঝাপড়ার ওপর ভিত্তি করে সুস্থ যৌননীতি তৈরি করে নেয়া একান্ত প্রয়োজন। যৌনজীবন ‘নোংরা’ বা ‘পাশবিক’ কোনো জীবন নয়, মানসিক ভালোবাসার গাছের মাটির উপরকার ডালপালা হলে, শারীরিক ভালোবাসা হল মাটির নিচে থাকা গাছের শিকড়বাকড়। যৌনচাহিদা খিদে বা তেষ্টার মতোই স্বাভাবিক, এতে ‘নোংরামি’-র কিছু থাকতে পারে না।

স্ত্রী সহবাসের দোয়া।
স্ত্রী সহবাসের দোয়া।
উচ্চচারনঃবিসমিল্লাহি জান্নিবিনা শাইত্বানা ওয়া জান্নিবিশ শাইত্বানা মা রাযাকতানা ।
অনুবাদঃহে আল্লাহ আমাকে শয়তান হতে বাঁচার এবং আমার জন্য যা হালাল করেছ তাহা
হইতে শয়তানকে বিতারিত করো।

-------------------------------------------------
স্বামী-স্ত্রী সহবাসের ইসলামিক আদবসমূহ কি কি
আমরা অনেকেই হয়ত ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক সহবাসের স্বাভাবিক নিয়ম বা পন্থা সম্পর্কে জানি না। এখানে এ বিষয়ে একটু ধারণা দেয়া হলো যদিও হাদিস থেকে বিভিন্ন আসনে সহবাস করার দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। তবে সহবাসের স্বাভাবিক পন্থা হলো এই যে, স্বামী উপরে থাকবে আর স্ত্রী নিচে থাকবে। প্রত্যেক প্রাণীর ক্ষেত্রেও এই স্বাভাবিক পন্থা পরিলক্ষতি হয়। সর্বপরি এ দিকেই অত্যন্ত সুক্ষভাবে ইঙ্গিত করা হয়েছে আল কুরআনে।
আয়াতের অর্থ হলোঃ
"যখন স্বামী -স্ত্রীকে ঢেকে ফেললো তখন স্ত্রীর ক্ষীণ গর্ভ সঞ্চার হয়ে গেলো।"
আর স্ত্রী যখন নিচে থাকবে এবং স্বামী তার উপর উপুড় হয়ে থাকবে তখনই স্বামীর শরীর দ্বারা স্ত্রীর শরীর ঢাকা পড়বে। তাছাড়া এ পন্থাই সর্বাধিক আরামদায়ক। এতে স্ত্রীরও কষ্ট সহ্য করতে হয়না এবং গর্ভধারণের জন্যেও তা উপকারী ও সহায়ক। বিখ্যাত চিকিতসা বিজ্ঞানী বু-আলী ইবনে সীনা তার অমর গ্রন্থ "কানুন" নামক বইয়ে এই পন্থাকেই সর্বোত্তম পন্থা হিসেবে উলেখ করেছেন এবং 'স্বামী নিচে আর স্ত্রী উপরে' থাকার পন্থাকে নিকৃষ্ট পন্থা বলেছেন। কেননা এতে পুংলিংগে বীর্য আটকে থেকে দুর্গন্ধ যুক্ত হয়ে কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই অবশ্যই আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে যেন আনন্দঘন মুহুর্তটা পরবর্তিতে বেদনার কারণ হয়ে না দাড়ায়। তাই ইসলামী জীবন বিধান মেনে চলুন আনন্দকে অনন্দ হিসেবে উপভোগ করুন। আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে বিধান অনুযায়ী মেনে চলার তৌফিক দান করুন। আমীন।

হযরত আলী (রাযি.) এর অসিয়ত :-
হযরত আলী (রাযি.) তাঁর অসিয়ত নামায় লিখেছেন যে, সহবাসের ইচ্ছে হলে এই নিয়তে সহবাস করতে হবে যে, আমি ব্যভিচার থেকে দূরে থাকবো। আমার মন এদিক ওদিক ছুটে বেড়াবেনা আর জন্ম নেবে নেককার ও সত সন্তান। এই নিয়তে সহবাস করলে তাতে সওয়াব তো হবেই সাথে সাথে উদ্যেশ্যও পূরণ হবে ইনশাআল্লাহ। * স্বামী-স্ত্রী উভয়ই পাক পবিত্র থাকবে। * মুস্তাহাব হলো "বিসমিল্লাহ" বলে সহবাস শুরু করা। ভুলে গেলে যখন বীর্যপাতের পূর্বে মনে মনে পড়ে নেবে। * সহবাসের পূর্বে সুগন্ধি ব্যবহার করাও আল্লাহর রাসুলের সুন্নত। * সকল জাতিয় দুর্গন্ধ জাতীয় জিনিস পরিহার করা উচিত। উল্য্যে যে, ধুমপান কিংবা অপরিচ্ছন্ন থাকার কারণে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। আর এতে কামভাব কমে যায়। আগ্রহের স্থান দখল করে নেয় বিতৃষ্ণা। * কেবলামূখী না হওয়া। * একেবারে উলঙ্গ হবে না। * বীর্যপাতের পর ততক্ষণাত বিচ্ছিন্ন হবে না, বরং স্ত্রীর বীর্যপাত হওয়া পর্যন্তঅপো করবে। * বীর্যপাতের সময় মনে মনে নির্ধরিত দোয়া পড়বে। কেননা যদি সে সহবাসে সন্তান জন্ম নেয় তাহলে সে শয়তানের প্রভাব মুক্ত হবে নিয়ত ঠিক করুন।
আমাদের ইসলামী সমাজে প্রচলিত কিছু নিয়ম কানুন :- * ফলবান গাছের নিচে স্ত্রী সহবাস করবে না। * সহবাসের প্রথমে দোয়া পড়বেন। * স্ত্রী সহবাসের দোয়া :-
بِسْمِ اللَّهِ، اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ، وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا
(বিসমিল্লাহি আল্লা-হুম্মা জান্নিবনাশ্-শাইত্বানা ওয়া জান্নিবিশ্-শাইত্বানা মা রযাকতানা)।
'আল্লাহ্‌র নামে। হে আল্লাহ! আপনি আমাদের থেকে শয়তানকে দূরে রাখুন এবং আমাদেরকে আপনি যে সন্তান দান করবেন তার থেকেও শয়তানকে দূরে রাখুন।" (সুত্র :- বুখারী ৬/১৪১, নং ১৪১; মুসলিম ২/১০২৮, নং ১৪৩৪) * তারপর স্ত্রীকে আলিঙ্গন করবেন। * স্ত্রী যদি ইচ্ছা হয় তখন তাকে ভালোবাসা দিবে এবং আদর সোহাগ দিবে। চুম্বন দিবে। তখন উভয়ের মনের পূর্ণ আশা হবে সহবাস। * তখন বিসমিল্লাহ বলে শুরু করবেন। * স্ত্রী সহবাস করার সময় নিজের স্ত্রীর রূপ দর্শন শরীর স্পর্শন ও সহবাসের সুফলের প্রতি মনো নিবেশ করা ছাড়া অন্য কোনো সুন্দরি স্ত্রী লোকের বা অন্য সুন্দরী বালিকার রুপের কল্পনা করিবে না। * তাহার সাহিত মিলন সুখের চিন্তা করবেন না। স্ত্রীর ও তাই করা উচিৎ। * স্ত্রীর হায়েজ-নেফাসের সময় উভয়ের অসুখের সময় সহবাস করবেন না। * চন্দ্র মাসের প্রথম এবং পনের তারিখ রাতে স্ত্রী সহবাস করবেন না। * স্ত্রীর জরায়ু দিকে চেয়ে সহবাস করবেন না। ইহাতে চোখের জ্যোতি নষ্ট হয়ে যায়। * বিদেশ যাওয়ার আগের রাতে স্ত্রী সহবাস করবেন না। * সহবাসের সময় স্ত্রীর সহিত বেশি কথা বলবেন না। * নাপাক শরীরে স্ত্রী সহবাস কবেন না। * উলঙ্গ হয়ে কাপড় ছাড়া অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করবেন না। * জোহরের নামাজের পরে স্ত্রী সহবাস করবেন না। * ভরা পেটে স্ত্রী সহবাস করবেন না। * উল্টাভাবে স্ত্রী সহবাস করবেন না। * স্বপ্নদোষের পর গোসল না করে স্ত্রী সহবাস করবেন না। * পূর্ব-পশ্চিম দিকে শুয়ে স্ত্রী সহবাস করবেন না।
স্ত্রী সহবাসের পূর্বে দোয়া পড়া
হাদীস নং ১৪২- হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম (সাঃ) এরশাদ করেন, তোমাদের মধ্যে যদি কেউ নিজের বিবির সাথে সঙ্গমের জন্য আসে এবং সঙ্গমের পূর্বে বলবে “হে আল্লাহ আমাদেরকে শয়তান হতে রক্ষা কর এবং তুমি আমাদেরকে যা দান করবে তাকেও শয়তান হতে রক্ষা কর। হুযুর পাক (সাঃ) বলেন, যদি তাদের এ মিলনের মাধ্যমে কোন সন্তান দেয়া হয়, তা হলে শয়তান তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না ।

-------------------------------------------------
সহবাসের দোয়া কি?
আল্লাহুম্মা জান্নিবনা ও জান্নিবিশ্ শায়তন (বেহেস্তি জেওর)
আল-হামদুলিল্লাহ

ইসলামি আদবের একটি হচ্ছে মুসলিম তার স্ত্রীর নিকট আসার সময় বলবে :
" بِاسْمِ اللَّهِ اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَجَنِّبْ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا " . رواه البخاري فتح رقم 138
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহ্‌। আল্লাহুম্মা জান্নিবনাশ শায়তান ও জান্নিবিশ শায়তানা মা রাযাকতানা।
অর্থ: আল্লাহর নামে শুরু করছি। হে আল্লাহ, আমাদেরকে শয়তান হতে বাঁচান এবং আমাদেরকে যদি কোন সন্তান দেন তাকেও শয়তান হতে বাঁচান।
(সহিহ বুখারী, ফাতহুল বারি হাদিস নং ১৩৮)

এর উপকারিতা হচ্ছে, তাদের উভয়ের মাঝে কোন সন্তানের ফয়সালা হলে, শয়তান তার অনিষ্ট করতে করবে না।

সহবাসের কতিপয় আদব

সহবাসের কতিপয় আদব। সহবাসের নিয়ম।
১. স্বামী-স্ত্রী উভয়ই পাক পবিত্র থাকবে।
২. মুস্তাহাব হলো “বিসমিল্লাহ” বলে সহবাস শুরু করা। ভুলে গেলে যখন
বীর্যপাতের পূর্বে মনে মনে পড়ে নেবে।
৩. সহবাসের পূর্বে সুগন্ধি ব্যবহার করাও আল্লাহর রাসুলের সুন্নত।
৪. সকল জাতিয় দুর্গন্ধ জাতীয় জিনিস পরিহার করা উচিত। উল্য্যে যে,
ধুমপান কিংবা অপরিচ্ছন্ন থাকার কারণে দুর্গন্ধ
সৃষ্টি হয়। আর এতে কামভাব কমে যায়। আগ্রহের স্থান দখল করে নেয়
বিতৃষ্ণা।
৫. কেবলামূখী না হওয়া।
৬. একেবারে উলঙ্গ হবে না।
৭. বীর্যপাতের পর ততক্ষণাত বিচ্ছিন্ন হবে না, বরং স্ত্রীর বীর্যপাত হওয়া পর্যন্তঅপো করবে।
৮. বীর্যপাতের সময় মনে মনে নির্ধরিত দোয়া পড়বে। কেননা যদি সে সহবাসে সন্তান জন্ম নেয় তাহলে সে
শয়তানের প্রভাব মুক্ত হবে
নিয়ত ঠিক করুন।
হযরত আলী (রাযিঃ) তাঁর অসিয়ত নামায় লিখেছেন যে, সহবাসের ইচ্ছে হলে এই নিয়তে সহবাস করতে হবে
যে, আমি ব্যভিচার থেকে দূরে থাকবো। আমার মন এদিক ওদিক ছুটে বেড়াবেনা আর জন্ম নেবে নেককার ও
সত সন্তান। এই নিয়তে সহবাস করলে তাতে সওয়াব তো হবেই সাথে সাথে উদ্যেশ্যও পূরণ হবে ইনশাআল্লাহ
আল্লাহ তা’আলা আমাদের সবাইকে বুঝার এবং আমল করার তৌফিক দান করুন। আমীন।
-------------------------------------------------
যৌন মিলন অধিকক্ষণ স্থায়ী করতে কিছু দরকারী সেক্স টিপস
আজকাল অধিকাংশ পুরুষ দীর্ঘক্ষণ যৌন মিলন করা তো দুরের কথা যেটুকু সময় তার স্ত্রীকে আনন্দ দিতে প্রয়োজন সে সময়টুকুও তারা মিলনে স্থায়ী করতে পারেন না। যদিও এর পেছনে রয়েছে বহুবিধ কারণ। তবে যৌন মিলন নিয়ে যারা মানসিক ভাবে দুর্বলতায় ভুগেন তারা নিম্নলিখিত টিপসগুলো অনুসরন করে লাভবান হতে পারেন যদি অন্য কোন যৌন সমস্যায় আক্রান্ত না হয়ে থাকেন।
সহবাস বা যৌন মিলনের আগে করণীয় :- * যৌন মিলন শুরু করার আগে মন শান্ত করতে হবে৷ মনে কোন প্রকার নেগেটিভ ভাবনা আনা যাবে না৷ একটি বিষয় অনেকের ক্ষেত্রেই ঘটে - স্বল্পস্থায়ী যৌনতার একমাত্র কারণ হল তাদের শারীরিক ও মানসিক অস্থিরতা৷ * নিজেকে শারীরিক মিলেনর জন্য শারীরিক এবং মানসিক ভাবে তৈরি করুন৷ সকল প্রকার মানসিক চাপ, উদ্বেগ কমিয়ে আনুন৷ * স্ত্রী ছাড়া অন্য কারো সাথে যৌন মিলন থেকে বিরত থাকুন৷ স্ত্রী সাথে আপনার মনের ভাবনা গুলি শেয়ার করুন - যে আপনার শারীরিক ও মানসিক পরিস্থিতি সরল করতে সাহায্য করবে৷ * কনডম ব্যবহার করতে পারেন৷তবে অনেক পুরুষরাই অভিযোগ করছেন যে -কনডম ব্যবহারের ফলে তাদের যৌন আকাঙ্খা হ্রাস হচ্ছে৷ তবে এটি মনের ভুল ছাড়া আর কিছুই নয়৷ * তামাক, মদ ও অন্যান্য ওষুধের অতিরিক্ত সেবন দীর্ঘস্থায়ী যৌনতার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে৷ এইগুলি পরিহার করে চলা উচিত।
সহবাস বা যৌনমিলনের সময় করণীয় :- * যৌনমিলনের আগে কোন মতেই ফোর প্লে বাদ দেবেন না৷ দরকার হলে অধিক সময় নিয়ে ফোর প্লে করুন। * আসন পরিবর্তন করুন৷ নতুন কিছু আপনার মনোযোগকে আরও রোমাঞ্চিত করে তুলতে পারে৷ সঙ্গীর চাহিদার দিকেও নজর দিন৷ * সহবাসের সময় সঙ্গীর আধিপত্যে লজ্জাবোধ করার কোন কারণ নেই৷ * ধীরে ধীরে শ্বাসপ্রশ্বাস নিলে পরিশ্রম কম অনুভব হবে ফলে শরীর দীর্ঘক্ষণ যৌনমিলনের জন্য উপযুক্ত থাকবে৷

● ► ঘুমানোর আগে গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত সূমহ।
১) ভালোভাবে বিছানা ঝেড়ে নেয়া । (বুখারী - ৬৩২০)
২) ঘরের দরজা আল্লাহর নামে বন্ধ করা । (বুখারী - ৫৬২৩)
৩) শয়নের সময় দু'আ পাঠ করা (যেমনঃ 'আল্লাহুম্মা বিসমিকা আ'মুতু ওয়া আহইয়া') । (বুখারী - ৬৩১৪)
৪) ডান কাত হয়ে শোয়া । (বুখারী - ৬৩১৫)
৫) নাপাক অবস্থায় ঘুমাতে হলে শরীরের নাপাক স্থান ধুয়ে অযু করে নেয়া । (বুখারী - ২৮৮)
৬) সাধারণত সতর খুলা অবস্হায় না শোয়া । (বুখারী - ২৭৬৯)
৭) বিনা কারণে উপুড় হয়ে না শোয়া । (তিরমিযী - ২৭৬৮)
৮) ঘুমানোর সময় আগুনের বাতি জ্বালিয়ে না রাখা । (তিরমিযী - ১৮১৩)
৯) দুঃস্বপ্ন দেখলে পার্শ্ব পরিবর্তন করে শোয়া । (মুসলিম - ৫৯০১)
১০) দুঃস্বপ্ন দেখলে প্রথমে বাম দিকে তিনবার থুথু ছিটা এবং "দুঃস্বপ্ন ও শয়তান থেকে -
হে আল্লাহ আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাই" এভাবে তিনবার বলা । দুঃস্বপ্ন কাউকে না বলা । (মুসলিম - ৫৯০২)

Similar Documents

Free Essay

It-Infrastructure

...দৌড়ে পালাতে লাগল। অন্য বালকটি বুঝতে পারল না তার কি হয়েছে এবং কেন এভাবে দৌড়ে পালাচ্ছে। সে তার পিছন পিছন আরো জোরে দৌড়ে এসে তাকে ধরে ফেলল। - কিরে, এভাবে দৌড়ে পালাচ্ছিস কেন? - মা বলেছিল আমি যখন নগ্ন মেয়ে দেখব, তখন জমে পাথর হয়ে যাব। - আরে তোর মা তোকে ভয় দেখিয়েছে। - নারে, মেয়েদের দেখা মাত্রই একটা জায়গায় শক্ত হতে শুরু করছিল। ০৪. বাংলা স্যার ক্লাসে পডাচ্ছে, স্যার এর পেন্টের চেইন খুলা সেটা দেখে ক্লাসে মেয়েরা হাসা-হাসি করতাছে স্যার এসব না বুঝে রাগ করে বললেন, স্যারঃ বেশি হাসা-হাসি করলে বাহিরে বের কইরা খারা কইরা রাখুম 05 প্রেম চলাকালীন সময়ে প্রেমিকা প্রেমিককে বলল, এত জোরে না সোনা , প্লিজ। আমার হার্ট দুর্বল। প্রেমিক আশ্বস্ত করল, ভয় পেও না, এটা অতদূর যাবে না। 06 এক স্তন আরেক স্তনকে বলে, “ লড়াই হয় নীচে ,আর পাকড়াও হই আমরা” ৯. বাসর রাতে স্বামী বউয়ের চোখে বারবার চুমু দিচ্ছে বউ বলল, “ বারবার চোখে চুমু দিচ্ছ কেন?” স্বাম , “ তোমার চোখ হলো আমার কাছে ভালোবাসার বই,শুধু পাঠ করতে মন চায়” বউ , “ নিচে লাইব্রেরীতে আগুন জ্বলছে,আর তুমি বই নিয়ে ব্যাস্ত” (গররররর) (গররররর) ১২. গড়পরতা ৬-৭ ইঞ্চি লম্বা যা পেন্টের ভিতর থাকে এবং মেয়েরা খুব পছন্দ করে। জিনিষটা কি? বলেন দেখি-???...

Words: 469 - Pages: 2

Free Essay

Matir Moyna

...একজন তারেক মাসুদ : একটি মাটির ময়নার ব্যবচ্ছেদ http://mukhomukhoshmag.com/2013/12/16/the-clay-bird/ ফিরোজ আহমেদ মাটির ময়না ছবিটিকে দৈর্ঘ্যে প্রস্থে বা দ্বিমাত্রিকতার পর্দা-উপস্থাপনে যেমন দেখা গেছে সবমিলিয়ে তা একটি নিটোল গতির, প্রকৃতিঘনিষ্ঠ, শব্দনিষ্ঠ, দৃষ্টিনন্দন ছবি। তারপরও সিনেমাবোদ্ধা কেউ হয়ত আলোচনা করার মত ত্রুটি-বিচ্যূতি তাতে খুঁজে পেতে পারেন। তবে  দৈর্ঘ্যপ্রস্থের মাত্রায় “মাটির ময়না” তে কী আছে আর কী নেই তার চাইতে বরং মাটির ময়নার গভীরতায় কী বক্তব্য আছে সেদিকে দৃষ্টি দিলেই আমরা বুঝতে পারব একজন তারেক মাসুদের কেন প্রয়োজন ছিল আমাদের। মাটির ময়না মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ভিত্তিক ছবি- সাধারণ্যে এমনটাই প্রচার পেয়েছে এবং বেশীরভাগ দর্শক সে আলোকেই ছবিটিকে বিচার করে সন্তুষ্টি উপভোগ করেছেন। কিন্তু এটি ছবিটির বহুস্তরী গভীরতার উপরিস্তর মাত্র। তারেক মাসুদের সফলতার এটা একটা কারণ যে, তিনি মাটির ময়নার বক্তব্যকে বহুস্তরে প্রক্ষেপিত করতে পেরেছেন। সাধারণ দর্শকশ্রেণী তাদের ব্যস্ত জীবনের স্বল্প অবসরে দৃষ্টিনন্দন, শ্রুতিসুখকর, শৈশবগামী কিন্তু আবার দেশের জন্য আত্মোৎসর্গের সর্বব্যাপী আবেগে জারিত নিখুঁত একটি পর্দাপরিস্ফূটন দেখে খুশি হয়েছেন। অগ্রসর দর্শকশ্রেণী আর একধাপ এগিয়ে ছবিটিতে খুঁজে পেয়েছেন একটি দেশের জন্মলগ্নে সে দেশের গর্ভে উত্তাল আলোড়ন কীভাবে সৃষ্টি হয়ে কোথা দিয়ে চূড়ান্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় সেই চিত্র। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম কীভাবে একটি গহন, গভীর, নিস্তরঙ্গ গ্রাম ফুলপুরের সাধারণ মানুষের জীবন ও চেতনায় তার জন্মদাগ রেখে যায় তা দেখেছেন। বিপরীতভাবে, জন্মের কী এক দারুণ আকাঙ্খায় শিশু যেভাবে নাড়ীতে টান ফেলে, নাড়ীকে ছিন্ন করে পৃথিবীতে মুক্ত হয় সেভাবেই বাংলাদেশের কত গহন গর্ভে বসবাসকারী কতশত নিতান্ত...

Words: 2309 - Pages: 10

Free Essay

মধ্যরাতের ডোরবেল !

...মুরগীর মাংসের টেষ্ট নাকি ঠিক সময় লবন দেওয়ার উপর নির্ভর করে । মা বলে মাংস কষানোর ঠিক আগে লবন দিতে হয় । কিন্তু এই একটা কাজই আমি ঠিক মত পারি না । ইতি মধ্যে দুইবার লবন দেওয়া হয়ে গেছে তবুও আমার কাছে মনে হচ্ছে যে লবন মনে হয় ঠিক মত হয়নি । তৃতীয় বার লবন দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে । মাংসে আর কতটুকু লবন দিবো এই যখন ভাবছি তখনই ডোরবেলটা বেজে উঠল । এই সময়ে কে এল ? কারো তো আসার কথা না । আর ছুটির দিনে মানুষ জন ঠিক আমার বাড়ির দিকে পা মাড়ায় না । কারন তারা খুব ভাল করে জানে ছুটির দিকে আমার একটু রান্নার বাতিক আছে । আর আমার রান্না যে একবার খেয়েছে সে দ্বিতীয় বাড় আর এদিকে পা দেয় নি । তাহলে কে এল ? মনটা একটু খুশি হল । যাক,কেউ তো এসেছে ! যেই আসুক,তাকে দুপুরে না খাওয়িয়ে ছাড়ছি না । আগুন টা একটু কমিয়ে দিয়ে দরজা খুলতে গেলাম । দরজা খুলে খানিকটা চমকালাম । নিশি দাড়িয়ে আছে । হালকা নীল রংয়ের একটা শাড়ি পরা । মুখে খানিকটা লজ্জা মিশ্রত হাসি । খানিকটা লজ্জিত হয়েই বলল -সরি খবর না দিয়ে চলে এলাম । আই হোপ ইউ ডোন্ট মাইন্ড । -না ঠিক আছে । আমার অবাক ভাব টা তখনও কাটেনি । নিশির এখন এখানে আসার কথা না । কোন ভাবেই না । তাহলে কেন এল । আমি হাসলাম । বললাম -আসুন । আমার ঠিকানা পেয়েছেন কোথায় ? -চেষ্টা করলে কি না পাওয়া যায় ! এই কথাটও আমি ঠিক বুঝলাম না । আমি এমন কেউ না যে আমার ঠিকানা খোজার জন্য চেষ্টা করতে হবে । নিশি ঘরের ভিতর ঢুকলো । এদিক ওদিক তাকাতে তাকাতে বলল -এখানে একা থাকেন ? -হুম । একাই ! হায় হায় আমার না চুলায় মুরগি !! আমি নিশিকে বললাম -প্লিজ একটু বসুন । রান্না চড়িয়েছি তো ! -রান্না ?? আপনি নিজে রান্না করেন ? নিশি খানিকটা অবাক হওয়ার কন্ঠে বলল । -প্রতি দিন না । এই ছুটির দিন গুলোতে নিজেই রান্না করে খাই ।...

Words: 1218 - Pages: 5

Free Essay

Ghost Stories

...।। ভূত, প্রেত, অশরীরী, আত্মা, নিয়ে কিছু কথা ।। by ।। ভূতুড়ে গল্প ।। on Tuesday, July 26, 2011 at 7:39pm ভূত, ইংরেজীতে Ghost, যার উৎপত্তি পুরাতন জার্মান ভাষায় gaistaz শব্দ থেকে। এর অর্থ রাগ,ভয়।   সুদুর অতীত থেকে ঈশ্বরের প্রতিপক্ষ হিসেবে জ্বীন-ভুত-শয়তান পরিচিত। বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ থেকে লোকগল্প সবকিছুতেই ভুত শব্দটা একটা ভয়ের শিহরণ জাগানো আমেজ নিয়ে আসে।   এই উপমহাদেশে ভুত বলতে অতৃপ্ত আত্মাকে বুঝি। কোন কারনে কোন ব্যাক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যু হলে সে ভুত হয়ে যায়,এই আমাদের বিশ্বাস।   বিভিন্নক্ষেত্রে ভুতের বিশ্বাসগুলি -   মেসোপটমিয়া- মৃত্যুর পর মানুষের স্মৃতি আর ব্যাক্তিত্ব যখন দেবতার কাছে চলে যায়,তখন সে ভুত হয়ে যায়। তাদের খাদ্য-পানীয় দিয়ে খুশী করতে হত,নয়তবা জাতিতে বিপর্যয় নেমে আসবে।   মিশর- প্রাচীন মিশরীয়রা একেবারে মৃত্যুকে মানত না। প্রথমবার মৃত্যুকে তারা আফটার লাইফ বলত। পূনর্বার মৃত্যু যদি তারা কামনা করে তবেই সম্পূর্ন মৃত্যু হত। আফটার লাইফে মৃতের আত্মাকে ভুতের সাথে কল্পনা করা যায়। ফারাও Akhenaten পূর্ণমৃত্যু কামনা করে নাই,তাই সে ভুত। আধুনিক মিশরিয়রাও তার ভুতের দেখা পেয়েছে বলে দাবী করে।   গ্রীস- হোমারের অডেসি আর ইলিয়ডে ভুতকে বাষ্পের মত মিলিয়ে যাওয়া অপার্থিব বস্তু হিসেবে কল্পনা করা হয়েছে। মেডিভেল ইংল্যান্ড- মধ্যযুগে ইংল্যান্ডে এই ভুত আর ভুতের আছর নিয়ে অনেক রোমহর্ষক হত্যাকান্ডের ঘটনা রয়েছে। ডাইনী হত্যা নামক আনুষ্ঠানিক ভাবে অসংখ্যক নারী-পুরুষকে হত্যার প্রমান পাওয়া যায়।   আমরা এইবার ভারতীয় উপমহাদেশের ভুত নিয়ে কথা বলি-   ভুত-প্রেত এক স্বতন্ত্র জাতি বিশেষ। বলা হয় যে মরার পর মানুষ তার কর্মফল অনুযায়ী ভুত বা অশরীরী আত্মা হয়ে দেখা দেয়। এদের নিজেদের...

Words: 251886 - Pages: 1008

Premium Essay

English

...|Word |Synonym |Sentence | |Abase |to humiliate, degrade, debase, corrupt, |Don’t abase yourself by accepting this offer. | | |disgrace | | |Abash |to bewilder, confound, confuse, puzzle, amaze,|That poor man felt abashed in the company of rich man & women. He was not at | |[uh-bash] |stun, leave speechless, bamboozle. |all abashed by his open admiration (প্রশংসা). | |Abate |to remove, lessen |We resumed our journey when the rain abated. Rather than leaving immediately, | | | |they waited for the storm to abate. | |Abdicate |to forsake, give up, (পরিত্যাগ করা, অস্বীকার |Edwar VIII abdicated the British throne to marry the woman he loved. Saddam was| | |করা), resign, relinquish, hand over, step down|abdicated from his throne. | | |from, abandon | | ...

Words: 27003 - Pages: 109